img

গোলাপগঞ্জ পৌর নির্বাচন: দৌড়ঝাঁপ শুরু সম্ভাব্য প্রার্থীদের

প্রকাশিত :  ০৬:৪৯, ০২ ডিসেম্বর ২০২০

গোলাপগঞ্জ পৌর নির্বাচন: দৌড়ঝাঁপ শুরু সম্ভাব্য প্রার্থীদের

জনমত ডেস্ক : ঘনিয়ে আসছে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। এখন দিনতারিখ চূড়ান্ত না হলেও ইতোমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন এই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তবে প্রথম ধাপের তালিকায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি।      

তবে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সব ওয়ার্ডে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে-ময়দানে আগাম প্রচারে সরব হয়ে উঠেছেন। অনেকেই ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, উঠান বৈঠক ও কর্মী সমাবেশ শুরু করছেন। সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোটারদের কাছে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।   

পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সবচেয়ে বেশি তোড়জোড় চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোয়ন দৌঁড়ে রয়েছেন বর্তমান মেয়র, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল ও সাবেক মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ পাপলু।    

ইতিমধ্যে তারা কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাপের পাশাপাশি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক সহ বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।    

গোলাপগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মেয়র পদটি রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হাতে। পৌরসভার উপ-নির্বাচনসহ গেল দুই নির্বাচনে নৌকার মাঝি ছিলেন জাকারিয়া আহমদ পাপলু। দুই বারই নৌকার ভরাডুবি হয়। নৌকার প্রার্থী পরাজিত হলেও বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন আওয়ামী বিদ্রোহীরা।    

২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল জব্বার চৌধুরী বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের ৩১মে সিরাজুল জব্বার চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে ১১ জুলাই মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে একই বছরের ৩ অক্টোবর উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেল।

এদিকে পৌরসভার মেয়রের চেয়ারটি দখল করতে মিরিয়া হয়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির ঘরোনার একাধিক প্রার্থী থাকায় তারা পরাজয় বরণ করে। কিন্তু এবার তারা একক প্রার্থী দিবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিনের নাম শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কৌশলী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।    

এদিকে গোলাপগঞ্জ পৌর নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকগুলোকে প্রার্থী দেবে কিনা এখনো কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। তাদের নির্বাচনী কোন কার্যক্রম বা প্রচারণা চোখে পড়েনি।   

গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল জানান, উপ নির্বাচনে পৌরবাসী আমার উপর আস্থা রেখেছিল। আমায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিল। আমি তাদের পবিত্র আমানতের খেয়ানত করিনি। মাত্র দুই বছরে পৌরসভায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা পৌরবাসীর চোখের সামনে দৃশ্যমান। এবারের নির্বাচনেও আমার উপর পৌরবাসী আস্থা রাখবে এবং আমায় আবারো নির্বাচন করবে। সেই সাথে আবারের নির্বাচনে দল আমার উপর ভরসা করবে এবং আমায় দলীয় প্রতিক দেবে বলে আমি আশাবাদী।     

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু বলেন, গত দুই নির্বাচনে দল আমায় নৌকার মাঝি বানিয়েছিল। আশা করছি এবারো আমি নৌকার মাঝি হবো। আমি পৌরসভায় মেয়র থাকাকালীন সময় পৌরসভায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি আশাবাদী পৌরবাসী আমায় এবার নির্বাচিত করবে।       

বিএনপির ঘরানার প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন বলেন, এবার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঘরোনার একক প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আশা করছি বিএনপির মনোনয়ন আমি পাবো। নির্বাচন সুষ্ঠু  হলে ধানের শীষের প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে।

img

হবিগঞ্জে পরীক্ষায় ফেল করায় তিন শিক্ষার্থীর বিষপান, একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৯:৩০, ১২ মে ২০২৪

হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মায়িশা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীর মারা যান। রোববার (১২ মে) বিকেলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তারা বিষপান করেন।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার মেয়ে মায়িশা আক্তার (১৭)। সে সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসে। আজ (রোববার) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে এতে সে অকৃতকার্য হয়। খবর পেয়ে সে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে ফেলে। স্বজনরা বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় জেলার বাহুবল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রসুলপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রুমি (১৬) ও সদর উপজেলার পইল গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ মিয়া (১৬) ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তারা সকলেই হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, নিহত মায়িশার লাশ তার আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওপর দু’জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।