img

টাওয়ার হ্যামলেটসের লাইব্রেরি সার্ভিসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মতামত দিন

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ০২ ডিসেম্বর ২০২০

টাওয়ার হ্যামলেটসের লাইব্রেরি সার্ভিসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মতামত দিন

টাওয়ার হ্যামলেটস বরার লাইব্রেরী সার্ভিসের ভবিষ্যত সম্পর্কে নিজেদের অভিমত দেয়ার জন্য কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। লাইব্রেরী সার্ভিসের ভবিষ্যত নির্ধারণে কাউন্সিল ৩০ নভেম্বর সোমবার থেকে গণপরামর্শ অর্থাৎ কনসালটেশন কার্যক্রম শুরু করেছে। 

কাউন্সিল ফান্ডিং অর্থাৎ অর্থায়নের ক্ষেত্রে সরকারের অব্যাহত কর্তন এবং কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলার কারণে কাউন্সিলকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করতে হবে। সরকারি কৃচ্ছতা বা অব্যাহত আর্থিক কর্তনের কারণে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কাউন্সিলকে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করতে হয়েছে। 

অতিরিক্ত সাশ্রয় নিশ্চিত করতে কাউন্সিলকে সকল ক্ষেত্রেই ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে, লাইব্রেরী সার্ভিসও এর মধ্যে রয়েছে, যে খাতে বছরে ৪.৪ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়। প্রস্তাবিত সেভিংস বা সাশ্রয় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এখাতে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন সার্ভিস সহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহনের অর্থ হলো সার্ভিসসমূহ না কমিয়েই ৬ লাখ পাউন্ড সাশ্রয় করা সম্ভব। তদুপরি, আরো ১ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয়ের উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং এটা অর্জনের লক্ষ্যে কাউন্সিল বিভিন্ন অপশন বা উপায়গুলো নিয়ে পরামর্শ শুরু করেছে। বারার তিনটি লাইব্রেরী ও ৫টি আইডিয়া স্টোরের ব্যবহারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন করে অপশনগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক দশক আগে সরকারিভাবে মিতব্যয়িতা বা কঠোর আর্থিক সংকোচন নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সারাদেশে ৭৭৮টি লাইব্রেরী বন্ধ করে দেওয়া হলেও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এখন পর্যন্ত তার সবগুলো লাইব্রেরী ও আইডিয়া স্টোর চালু রেখে এসেছে। 

আমাদের অনেকগুলোর ব্যবহারের হার খুবই উচ্চ, কারণ টাওয়ার হ্যামলেটস্ ছিলো প্রথম কোন লকাল অথরিটি, যারা লাইব্রেরী, ক্যাফে, এডাল্ট এডুকেশন ক্লাসসমূহ এবং কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ -সবকিছু এক ছাদের নিচে নিয়ে আসে, যেটা আইডিয়া স্টোর নামে পরিচিত।

প্রস্তাবিত অপশনগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিসপ স্ট্রিট, বো, ক্যানরি ওয়ার্ফের পরিবর্তে আইল অব ডগসে নতুন সাইট এবং হোয়াইটচ্যাপল আইডয়া স্টোর - এই চারটি প্রধান আইডিয়া স্টোরে ৫ বছর মেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা। এই বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে বিল্ডিংগুলোর বিভিন্ন অংশের নতুন ডিজাইন করা এবং বাসিন্দাদের জন্য ডিজিটাল অফার অর্থাৎ প্রযুক্তিগত সেবাকে আরো সম্প্রসারিত করা।

এ প্রসঙ্গে মেয়র জন বিগস বলেছেন, সারাদেশের সকল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতো টাওয়ার হ্যামলেটসকেও তার বাজেটের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং প্রয়োজনীয় সেবাখাতগুলো রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য সঞ্চয় বা সাশ্রয় করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাসিন্দারা যেসকল পন্থা বা উপায়ে আইডিয়া স্টোর ও লাইব্রেরীগুলো ব্যবহার করছেন, সে পন্থাগুলোর ওপর ভিত্তি করেই প্রস্তাবিত বিকল্পগুলো নিয়ে  কনসালটেশন শুরু হয়েছে, যেখানে আমাদের কমিউনিটিগুলোর প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অধিকতর ডিজিটাল সেবা ও সহজলভ্য সেবা প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। 

এই কনসালটেশনে অর্থ সাশ্রয়ের বিভিন্ন বিকল্পও নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ওপেনিং আওয়ার্স বা খোলা থাকার সময় ও দিনে পরিবর্তন আনা এবং যে সাইটগুলোর ব্যবহার সবচেয়ে কম, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া।

কেবিনেট মেম্বার ফর কালচার, আর্টস এন্ড ব্রেক্সিট, কাউন্সিলর সাবিনা আখতার বলেন, আমাদের আইডিয়া স্টোরগুলো সত্যিকার অর্থেই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কমিউনিটি হাব বা কেন্দ্র হিসেবে এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। বর্তমান কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের চমৎকার লাইব্রেরী সার্ভিসকে রক্ষা করতে আমাদের বিদ্যমান সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। তাই অনুগ্রহ করে কনসালটেশনে অংশ নিন এবং আমাদের লাইব্রেরী সার্ভিসের ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করুন।

আগামী ২৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ পর্যন্ত এই অনলাইন কনসালটেশন চলবে।

talk.towerhamlets.gov.uk/ideastores - এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি সহজেই অনলাইন সার্ভেতে অংশ নিয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন। যদি আপনার নিজস্ব ওয়াই-ফাই কিংবা কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা না থাকে, তাহলে বো, ক্রিসপ স্ট্রিট অথবা হোয়াইটচ্যাপল আইডিয়া স্টোরে গিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য সেশন বুক করতে পারেন। যদি অনলাইন সার্ভে ফরম পূরণ করতে আপনার কোন সহযোগিতার দরকার হয়, তাহলে ০২০ ৭৩৬৪ ০২৩৭ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।


 


 

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর