img

আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর, ঢাকায় কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য হবে

প্রকাশিত :  ১০:০৫, ০২ ডিসেম্বর ২০২০

আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর, ঢাকায় কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য হবে

জনমত ডেস্ক : তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মাণ করবে তুরস্ক। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি আমরা মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবো। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক, আর কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের প্রতীক। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করবো। আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের। শিগগিরই এই ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। ইস্তাম্বুল ও চট্টগ্রামেও এ ধরনের কিছু করা যায় কিনা তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’

এ সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইতোমধ্যে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের। একইসঙ্গে ঢাকায় আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের। আমরা আরও আলোচনা করেছি, তুরস্কের বাণিজিক রাজধানী ইস্তাম্বুল ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও এরকম কিছু করা যায় কিনা।’

img

২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১৪:৫০, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৩৩, ১৩ মে ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশে পৌঁছাল বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। বিষয়টি জানিয়েছেন জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে।

তিনি বলেন, নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন একটি নাবিক দল। বর্তমান নাবিকরা দীর্ঘ ভ্রমণ ও জিম্মিদশার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য ছুটিতে যাবেন। তবে তারা মঙ্গলবারই ছুটি পাচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর থেকে নানা শঙ্কায় ছিলেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। দীর্ঘদিন পর তাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাল।

শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল।

মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল।    

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার দীর্ঘ ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত ২১ এপ্রিল বিকালে নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে। জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়ে ২২ এপ্রিল। এরপর ওই বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর নতুন ট্রিপের পণ্য (পাথর) লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজ। সেখানে ৫৬ হাজার টন চুনা পাথর নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল দুবাই মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়।