img

'বন্ধু, আবার দেখা হবে', মেসিকে নেইমার

প্রকাশিত :  ০৯:০৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:১৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

'বন্ধু, আবার দেখা হবে', মেসিকে নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউটে বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ হচ্ছে পিএসজি। যার মানে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মেসির মুখোমুখি হচ্ছেন নেইমার। তিন বছর আগে নেইমার বার্সা ছাড়ার পর এই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দুই তারকা। হয়তো এ কারণেই গত সোমবার গোড়ালির চোটের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র হওয়ার পরপরই মেসির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন নেইমার।

ইনস্টাগ্রামে ব্রাজিলিয়ান তারকা লিখেছেন, 'বন্ধু, আমাদের আবার দেখা হবে।' তবে এই বার্তা ঘিরে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। মুখোমুখি হওয়ার আগে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন, নাকি পিএসজিতে মেসিকে ডাকছেন নেইমার! ক'দিন আগে নেইমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আগামী বছর মেসির সঙ্গে একই ক্লাবে খেলবেন।

মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসির সাম্প্রতিক কর্মকাে নেইমারের এই বার্তায় ভিন্ন ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। মেসির পিএসজিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নাকি সম্প্রতি বার্সেলোনার কাতার কনসুলেটে এক বৈঠক করেছেন হোর্হে মেসি।

এই খবর দিয়ে স্প্যানিশ গণমাধ্যম 'লা চিরিঙ্গগুইতো' দাবি করেছে, 'পিএসজি ও কাতারের সঙ্গে মেসি ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন।' তবে এই খবর বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দিয়ে কাতার কনসুলেটে বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন মেসির বাবা, 'মিথ্যা, আরও একটি আবিস্কার। সেই সেপ্টেম্বর থেকে আমি আর্জেন্টিনায় আছি।'

মেসির বাবার দাবির পরপরই 'লা চিরিঙ্গগুইতো' জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মেসির ব্যক্তিগত বিমান যে রোজারিও থেকে বার্সেলোনার এসেছে, সে প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। 'টিএনটি' স্পোর্টসও মেসির বিমানের বার্সায় আসার খবর নিশ্চিত করেছে। চলতি মৌসুমের শুরুতেই বার্সা ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মেসি। তখন আইনের মারপ্যাঁচে সম্ভব না হলেও অচিরেই তিনি যে বার্সা ছেড়ে দেবেন, সে ইঙ্গিত তখনই দিয়েছিলেন মেসি।

তখন তার ম্যানচেস্টার সিটিতে যওয়ার গুঞ্জন থাকলেও এখন শোনা যাচ্ছে পিএসজির কথা। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দলবদলের জন্য অন্য ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগে মেসির আর কোনো বাধা থাকবে না। তাই নেইমারের কথা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকে।

img

জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরুতে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

প্রকাশিত :  ১২:৫৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের কয়েকটি ম্যাচে খেলবেন না। শোনা যাচ্ছে সেসময় তিনি শেখ জামালের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়টি ম্যাচ খেলবেন। এই সিরিজের দল ঘোষণার পরই প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু জানিয়েছেন, সাকিবকে সিরিজের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে না। 

জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে না খেলে তখন কেন ডিপিএল খেলবেন সাকিব? যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

৩ মে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সাকিব জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব...আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এর পর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেল, তা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’

সাকিব আরও বলেন, আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এ দুটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নেই।’

সাকিব আরও বলেছেন, আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়েরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’

১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কিনা, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড়-ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার। ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।