img

সিইসির সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত :  ০৯:০১, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

সিইসির সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

জনমত রিপোর্ট ।। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অ্যালিসন ব্লেইক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যান। সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দুপুর সোয়া ১২টায় ইসি থেকে বের হয়ে যান তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে মিডিয়ার সাথে কথা বলেননি ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এজন্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশনও পাঠাবে না সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডেমোক্রেসি সাপোর্ট ও ইলেকশন কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

img

মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত :  ১৮:২৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাবিধকার প্রতিবেদনে তা স্বীকার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহলী সাবরীন। এ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, ২০২৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন নোট করেছে বাংলাদেশ। আমরা যতই আকাঙ্ক্ষা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। কারণ একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে।‘বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লে­খযোগ্য উন্নতি হয়েছে, তবে যেসবের আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সমাবেশ করার ক্ষেত্রে উল্লে­খযোগ্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এত অর্জন সত্ত্বেও দুঃখের বিষয় মার্কিন প্রতিবেদনে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন স্বীকার করা হয়নি। এছাড়া কিছু বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, এটি পৃথক রিপোর্ট করা বা অভিযুক্ত ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে পরিপূর্ণ নয়।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘এটাও স্পষ্ট যে, প্রতিবেদনে বেশিরভাগ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি বেনামি সংস্থা থেকে অনুমাননির্ভর তথ্য নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সে কারণে প্রতিবেদনে সহজাত এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে।’
মার্কিন প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন।’
মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এটি সঠিক নয়। প্রতিবেদনে বিএনপি এবং এর রাজনৈতিক মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ও ভাঙচুর তুলে ধরা হয়নি। তাদের সহিংসতা প্রায়ই সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করে। এতকিছুর পরও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক সংলাপ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে এই বিষয়ে রাষ্ট্র-সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়িয়ে বারবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনুরূপ শ্রম অধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কেস উলে­খ করা হয়েছে, যেগুলো নিয়ে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘প্রতিবেদনটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নোট করেছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সব নাগরিকের মানবাধিকারের সম্পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার জন্য যে কোনো পরিস্থিতিতে জড়িত থাকার জন্য উন্মুখ।’