রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ার ৫ কারণ জেনে নিন

প্রকাশিত :  ১১:৪৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ার ৫ কারণ জেনে নিন

জনমত ডেস্ক: বিভিন্ন কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এর প্রভাব বেশি দেখা যায়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কী কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়:

১) নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া হলে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের আলু, ভাত খেতে বারণ করা হয়।

২) যারা নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ খান বা ইনসুলিন নেন, তারা কোনও দিন বা কোনও বেলা ওষুধ খেতে, ইনসুলিন নিতে ভুলে গেলে ব্লাড সুগার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।

৩) এমন কিছু খাবার-দাবার রয়েছে যেগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। হোয়াইট ব্রেড, কাজু, কলা ইত্যাদি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।

৪) মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণেও হঠাৎ করেই ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে।

৫) দীর্ঘদিন ধরে কোনও রকম শরীরচর্চা না করলে বা কোনও রকম অসুস্থতার কারণে শারীরিক ভাবে সচল না থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

ইনহেলার ব্যবহারে কি রোজা ভাঙ্গে?

প্রকাশিত :  ০৯:৩৯, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইজমায়ে উম্মাহ তথা বিশ্বের অনেক মুসলিম স্কলার একটি বিষয়ে এক সভায় একমত হয়েছেন যে, যদি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন-অ্যাজমা ও সিওপিডি সমস্যা থাকে এবং সে যখন রোজা রাখে তখন ইনহেলার আকারে নেওয়া অ্যাজমা ও সিওপিডি ওষুধগুলো রোজা ভঙ্গ করে না। 

বিষয়টি মেডিক্যাল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে। যদি কেউ তার রোজার অংশ হিসাবে সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করাকে বেছে নেন, তবে তার অ্যাজমা ও সিওপিডি লক্ষণগুলো আরও খারাপ হতে পারে।

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়-রোগীদের এ দ্বিধা মোকাবিলায় সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি পদ্ধতি হলো রোগীদের তাদের ইনহেলার ব্যবহারের সময় নিয়ে সাহায্য করা। বেশিরভাগ অ্যাজমা ও সিওপিডি এর প্রতিরোধক ওষুধগুলো দিনে দুবার নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে রোগীরা সেহরির সময় এবং ইফতারের সময় ICS বা ICS+LABA দৈনিক প্রতিরোধক ইনহেলার পুনঃবিন্যাস করতে পারেন।

যেহেতু হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য রোগীদের তাদের প্রতিরোধক ইনহেলার (ICS ও LABA) নির্ধারিত হিসাবে গ্রহণ করা চালিয়ে যেতে হবে। রমজান মাসে প্রতিরোধক থেরাপি মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে চিকিৎসকদের কর্তব্য রোগীদের সচেতন করা বা সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া। রমজান মাসে রোগীদের ধূমপান বন্ধ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। রোগীরা চাইলে এ সময়টা ধূমপান (যারা করেন) পরিহার করে ইনহেলার ব্যবহারজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।