img

নতুন ধরনের করোনা নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত :  ০৬:৫১, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

নতুন ধরনের করোনা নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন যে ‘সংস্করণ’ (স্ট্রেইন) পাওয়া গেছে তা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, রুপান্তরিত নতুন করোনাভাইরাস আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য হওয়ায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের সাথে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।

তবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পাওয়া করোনা ভ্যাকসিন রুপান্তরিত নতুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে না বা এটি যে আরও মারাত্মক, এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সোমবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মূল কথা হলো আমাদের যতটা সম্ভব সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ দমিয়ে রাখা প্রয়োজন।’ খবর: ইউএন নিউজ।

‘আমরা এটিকে (কোভিড-১৯) যত বেশি ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ দেব, এর তত বেশি রুপান্তরিত হওয়ার সুযোগ থাকবে,’ বলেন তিনি।

ডব্লিউএইচও প্রধানের মতে, ২০২১ সালের প্রথম দিকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কমপক্ষে ২০ ভাগের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন কিনতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারের তহবিল প্রয়োজন হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং যারা গুরুতর রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার দ্রুততম উপায়।’

প্রসঙ্গত, ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তন হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন রূপ ধারণ করতে থাকে যাকে বলা হয় ‘মিউটেশন’।

এই মিউটেশনের মধ্য দিয়ে ভাইরাস যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তেমনি অনেক সময় এর শক্তি হ্রাসও পায়। নতুন রুপ নিয়ে মানুষের মাঝে দ্রুত বা সহজে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস যা ওষুধ বা ভ্যাকসিনের মতো প্রতিরোধক ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

ভাইরাসগুলো স্বাভাবিকভাবেই বিকশিত হয় কারণ সেটি মানুষের মধ্য দিয়ে যায়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বেশকিছু স্থানে করোনাভাইরাসের নতুন এক ‘স্ট্রেইনের’ সন্ধান পাওয়া গেছে।

এ কারণে গত শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই স্ট্রেইন যে আগের চেয়ে সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে বা ভ্যাকসিনকে মোকাবিলা করতে পারে- এমন সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।


img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।