img

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তিতে সিদ্ধান্তহীনতায় চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ১৩:১৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তিতে সিদ্ধান্তহীনতায় চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
জনমত ডেস্ক : কমিটি গঠন ও কেন্দ্র নিয়ে দ্বিমত অবস্থানের কারণে আসন্ন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দেশের চারটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।  যদিও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সম্মতি জানিয়েছে তারা।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বুধবার দেশের চারটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।  এগুলো হল- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন বুয়েটের সহ-উপাচার্য আবদুল জব্বার খান, চুয়েটের উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রুয়েটের উপাচার্য মো. রফিকুল ইসলাম শেখ ও কুয়েটের উপাচার্য কাজী সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় বুয়েটের তিনজন অধ্যাপকও যুক্ত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে। এ বিষয়ে তাদের একাডেমিক কাউন্সিলেরও মত রয়েছে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন ও কেন্দ্র নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। তাই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের দেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে অন্য তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই তাদের সুস্পষ্ট মতামত ইউজিসিতে পাঠাবে। সেটির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবার থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৮ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, কৃষিবিষয়ক ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর স্নাতক শ্রেণিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশে বর্তমানে ৪৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৩৯টিতে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। 
img

জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪২, ১২ মে ২০২৪

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

শিক্ষা এর আরও খবর