img

ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের উপায়

প্রকাশিত :  ০৭:৩২, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের উপায়

জনমত ডেস্ক : চুল ঝলমলে করতে যেমন অতুলনীয় ভিটামিন ই, তেমনি সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকও পাওয়া যায় এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে। এই ভিটামিনে পাওয়া যায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তবে এজন্য রূপচর্চায় চাই এর সঠিক ব্যবহার। ভিটামিন ই ক্যাপসুল কীভাবে ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন, জেনে নিন সেটা।

 ভিটামিন ই ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে। রাতে ঘুমানোর আগে নারকেল তেল বা বাদামের তেলের সঙ্গে এটি মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।

ভঙ্গুর নখের যত্নে প্রতিদিন রাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ম্যাসাজ করুন নখে।

চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইদিন এভাবে ব্যবহার করুন।

রোদে বের হওয়ার আগে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল লাগান ত্বকে। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।

শীতে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও বেশ শুকিয়ে যায়। শুকনো ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানর আগে ভিটামিন ই তেল ঘষে নিন। এতে ঠোঁট যেমন নরম হবে, তেমনি লিপস্টিকও থাকবে দীর্ঘক্ষণ।

 ত্বক বলিরেখাহীন রাখতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল লাগান ত্বকে।

ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাতে ঘুমানোর আগে চোখের চারদিকে ভিটামিন ই তেল ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দূর হবে চোখের আশেপাশের কালো দাগ।

রাতে ঘুমানোর আগে লোশনের সঙ্গে ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে এটি।

চুল ঝলমলে করতে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

img

এই গরমে কী খাবেন চা না কফি?

প্রকাশিত :  ০৬:৩২, ০২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ০২ মে ২০২৪

তীব্র গরমে দেশজুড়ে অতিষ্ঠ মানুষ। গরমে কীভাবে শীতল থাকা যায় তা নিয়ে চলছে চর্চা। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ওপর নজর কম-বেশি সবারই। গরমে চা না কফি পান করা ভালো তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। এই গরমে এই দুই পানীয়ের মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী? আর দিনে কত কাপ কাপ চা বা কফি খাওয়া উচিত? 

গরমে চা সেরা​


আমাদের অতি পরিচিত চা হল একটি রিফ্রেশিং ড্রিংক। তাই চা খেলে কমে দুশ্চিন্তা, কাজে বশে মন। তবে শুধু মনের হাল ফেরানোই নয়, সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, প্রেশারকে বশে রাখাসহ একাধিক জরুরি কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চা। আর সেই কারণেই তো সারা বিশ্বের প্রথমসারির সব পুষ্টিবিদেরা চায়ের এত গুণগান করেন। তাই আর মনে প্রশ্ন না রেখে নিয়মিত চা খাওয়া চালু করে দিন।

কফিও উপকারী

​কফির মূল উপাদান হল ক্যাফিন। আর এই উপাদান কিন্তু মনের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের গুণে হার্টও থাকে সুস্থ-সবল। সেই সঙ্গে মেলে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি। আর এই কারণেই নিয়মিত কফির কাপে চুমুক দিয়ে দিন কাটান গোটা বিশ্বের অগণিত মানুষ। তাই শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে নিয়মিত কফি খেতেই পারেন। তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না বললেই চলে।

কফি না চা, গরমে কোনটায় দেবেন চুমুক?​

এই গরমে কফির বদলে চা খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্লাড প্রেশার বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর এই গরমে প্রেশার বাড়লে যে আদতে শরীরেরই বারোটা বাজবে, এই বিষয়টা আলাদা করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই। তাই দাবদাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে চাইলে চায়ের উপরই রাখুন ভরসা।


​কত কাপ চলতে পারে?​

এই গরমে সারাদিনে ৩ থেকে থেকে ৪ কাপ লিকার চা চলতে পারে। আর যারা দুধ চা খেতে পছন্দ করেন, তারা দিনে ১ থেকে ২ কাপ লো ফ্যাট মিল্কে তৈরি চায়ে চুমুক দিন। এই নিয়মটা মেনে চললে কিন্তু সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে। তবে সকলে আবার কফির বদলে চা খেয়ে দিন কাটাতে পারবেন না। তাই আপনারা দিনে ১ কাপ ব্ল্যাক কফি খান। এই কাজটা করলে কিন্তু সুস্থ থাকবেন।

প্রচুর পানি পান করুন

এমন দাবদাহ পরিস্থিতিতে দিনে অন্ততপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করতেই হবে। পারলে পানির পাশাপাশি ওআরএস এবং ডাবের পানি খান। সেই সঙ্গে পাতে থাকুক হালকা খাবার এবং মৌসুমি ফল। এড়িয়ে চলুন ফাস্টফুড।