img

বিএসইসি’র নতুন শর্তে কমবে আইপিও শিকারীদের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত :  ০৮:২৫, ১১ জানুয়ারী ২০২১

বিএসইসি’র নতুন শর্তে কমবে আইপিও শিকারীদের দৌরাত্ম্য

জনমত ডেস্ক : আইপিও আবেদনে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে বিএসইসি’র দেয়া নতুন শর্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। বলছেন, এতে আইপিও শিকারীদের দৌরাত্ম্য কমবে। পাশাপাশি শর্তপূরণে অনেকেই সেকেন্ডারি মার্কেটে বাড়াবেন বিনিয়োগ। ফলে শেয়ারের বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় বাজার আরও চাঙ্গা হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। 

আগামী ১ এপ্রিল থেকে আইপিওতে লটারি প্রথা থাকছে না। ফলে প্রত্যেক আবেদনকারীই পাবেন প্রাথমিক শেয়ার। তবে এক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সেকেন্ডারি মার্কেটে যাদের কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ আছে, তারাই কেবল আইপিওতে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা অর্থমূল্যের প্রাথমিক শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

বিনিয়োগকারীরা জানালেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাংকের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো এবং অনেক ঝক্কি-ঝামেলা ছিল। তা থেকে আমরা বেঁচে গেছি। ২০১০ বা পরবর্তীতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে একটা সুযোগ দেওয়া দরকার, যাতে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।

বর্তমান আইনে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ না থাকলেও যে কোন ব্যক্তি একক এবং যৌথ বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আইপিওতে দুটি আবেদন করতে পারেন।

কিন্তু এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী নামে-বেনামে অসংখ্য বিও অ্যাকাউন্ট থেকে আইপিও আবেদন করছেন। আর শেয়ার পেয়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করেই কেটে পড়ছেন তারা। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা। বাজার থেকেও বেরিয়ে যাচ্ছে বিপুল অর্থ। আইপিও কেন্দ্রিক এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে চায় বিএসইসি।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, যারা আগ্রহী হয়ে মার্কেটে আসছে তারা কিছুটা হলেও আইপিওভিত্তিক শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগটা পাবে।

এদিকে, বিএসইসি’র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাজার বিশ্লেষকরাও। বলছেন, এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা হবে। পাশাপাশি বাজারে তারল্য প্রবাহও বাড়বে। 

গ্রীনডেল্টা ইক্যুইটিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাজিব আহসান বলেন, যখনই আপনি ভালো কোম্পানি আনবেন তখন কিন্তু তাদের ইচ্ছাটা আরও বেড়ে যাবে। শুধু যারা আইপিও করে, সেকেন্ডারি মার্কেট থাকলে তারাও এখানে বিনিয়োগ করবে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের সম্মতিপত্র একসঙ্গে দেয়ার বিএসইসির সিদ্ধান্তকেও ইতিবাচক মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

img

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে আইসিবি পাচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১০:১৯, ১৩ মে ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। শেয়ারবাজারের কার্যক্রম বাড়ানো এবং কিছু মেয়াদি আমানত পরিশোধ করার জন্য সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল পেতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং আইসিবি-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ-নিশ্চয়তার (সভরেইন গ্যারান্টি) সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকটিকে এই তহবিল সরবরাহ করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন দিয়েছেন, শেয়ারবাজারের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী আইসিবি\'র শেয়ারবাজারের কার্যক্রমকে সমর্থনে সরকারের তৎপরতার অংশ হিসেব সরকারি সুপারিশের সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইসিবি\'র চেয়ারম্যান সুবর্ণ বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক ও আশাবাদী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইসিবিকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।

আইসিবি\'র আরেক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই তহবিলের বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া বাজারকে সহায়তা দিতে কয়েক বছর ধরে আইসিবি\'র নেওয়া উচ্চ-সুদের মেয়াদি কিছু আমানত পরিশোধ করতেও তহবিলের কিছু অংশ ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি এই তহবিল আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তাই এটি আমাদের এবং শেয়ার বাজারের জন্য খুব ইতিবাচক হবে।

এসইসি\'র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বি বলেন, তারা তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। \'কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল দিতে রাজি হয়েছে। তহবিল ছাড় হলে আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা জোরদার হবে এবং সামগ্রিক বাজার উপকৃত হবে,\' তিনি আরও বলেন।