বিবিসির প্রতিবেদন

img

সাইকেল চালিয়ে আইন লঙ্ঘন করেন নি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৬:৪৫, ১২ জানুয়ারী ২০২১

সাইকেল চালিয়ে আইন লঙ্ঘন করেন নি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক :  সারাদেশের মানুষ যখন লকডাউনে ঘরে বন্দি, তখন নিজে বাইসাইকেল চালিয়ে সাত মাইল পাড়ি দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে তীব্র সমালোচনা উঠেছে বৃটেনে। অভিযোগ করা হচ্ছে, তিনি এর মাধ্যমে কোভিড বা করোনা সংক্রান্ত আইন নিজেই ভঙ্গ করেছেন। বিরোধী লেবার দল তার বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণের অভিযোগ এনেছে। কিন্তু তার বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দাবি করা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, পূর্ব লন্ডনের অলিম্পিক পার্কে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যাওয়ার পর লেবার দল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। জবাবে সরকার বলেছে, লকডাউনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ঘরের বাইরে শরীরচর্চা অনুমোদিত।

কিন্তু কোনো ব্যক্তি তার নিজ এলাকার বাইরে সফর করতে পারবেন না। তাই কেউ যদি বলেন যে, বরিস জনসন আইন ভঙ্গ করেছেন তাহলে তাদের সেই দাবি ভুল। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি যে, বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে সাইকেল চালিয়ে অলিম্পিক পার্কে গিয়েছেন নাকি সেখানে গিয়ে সাইকেল চালিয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডেম ক্রেসিদা ডিক বিবিসি রেডিও ৪’কে বলেছেন, এই সফর আইনের বিরুদ্ধে ছিল না। 

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

img

ইরানের ওপর ব্রিটেন-আমেরিকার নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৮:২২, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশ দুটি। খবর পলিটিকো ইইউ ও আল জাজিরার।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে ইসরাইলে প্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোদ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

এ হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরাইল। এ হামলা রুখতে ইসরাইলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এ হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো (টুল) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামীতে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।