img

সিরিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৭

প্রকাশিত :  ০৪:২৫, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

সিরিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংঘাত কবলিত সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইরানপন্থি যোদ্ধাদের স্থাপনায় ইসরায়েল এ হামলা চালায়। গত দুই বছরের মধ্যে সিরিয়ায়  সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ হামলায় ১০ সিরীয় সেনা এবং তাদের মিত্র ৪৭ জন বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এপি।

বুধবার ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর-আজ-জুর থেকে শুরু করে আল-বুকামাল মরুভূমি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৮বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপি’কে জানান, মার্কিনিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সিরিয়ায় এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ইরানি অস্ত্র মজুত রাখা হতো। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণের পাইপলাইন হিসেবেও ওইসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, গত সোমবার ওয়াশিংটনের একটি সুপরিচিত রেস্টুরেন্টে বসে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেনের সঙ্গে সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে আলোচনা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

হামলার বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ায় এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় হামলা। গত ৭ জানুয়ারি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ইরানপন্থী তিন যোদ্ধা।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর সিরিয়ায় অন্তত ৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এপর্যন্ত দেশটিতে কয়েকশ’বার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

img

হজ ভিসায় নতুন শর্ত দিল সৌদি আরব

প্রকাশিত :  ১৪:০৯, ০৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১৮, ০৬ মে ২০২৪

চলতি বছর হজ আয়োজনে ব্যাপক কড়াকড়ি করছে সৌদি সরকার। এবার হজ ভিসায় নতুন বিধান আরোপ করেছে সৌদি আরব। এ-সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদন খবরটি দিয়েছে।

ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়, সৌদি আরবে কোনো কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়। এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারী ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও পেতে পারেন। তাকে দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলো ছাড়া যে সকল আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান তাদের অবশ্যই হজ ভিসা নিতে হবে।

হজ ভিসা শুধুমাত্র হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে নতুন বিধিতে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধ হজ পালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বৈধ হজযাত্রীদের জন্য একটি করে ডিজিটাল নুসুক কার্ড দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেন। এই কার্ডগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরব যাওয়া হজযাত্রীদের দেওয়া হবে।

ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুত থাকবে এবং হজের জন্য পবিত্র কাবার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড দেখাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট দেশের হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন এবং হজ পারমিট ইস্যু করার পর স্থানীয় সৌদি হজযাত্রীরা দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।