প্রকাশিত : ০৯:১৩, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
জনমত ডেস্ক : নোয়াখালির হাতিয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সন্তানদের সামনে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি রাতে হাতিয়ার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি নির্যাতিতা আদালতে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে হেঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতে গত ১ জানুয়ারি স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক ঘরে ঢুকে তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় তারা। আর মোবাইলে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে। এ সময় নির্যাতিতা ও তার সন্তানদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে রাতেই তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে ওই দিনই ২৫০ শয্যা নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতারে দুই দিন চিকিৎসা নিয়ে ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর তিনি ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ নম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জামা দেয়া হবে।
এর আগে গত বছরের গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় একদল যুবক। পরে ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।