এক অজানা ভীতি

img

ভ্যাকসিন নিতে অনাগ্রহী ৪২ শতাংশ ব্রিটিশ বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ১৪:১০, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫৮, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

ভ্যাকসিন নিতে অনাগ্রহী ৪২ শতাংশ ব্রিটিশ বাংলাদেশি

জনমত ডেস্ক : ৪২ শতাংশ ব্রিটিশ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন । এক ধরনের ভীতি ও শঙ্কা থেকে তারা ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। ক‌রোনা প‌রি‌স্থি‌তির ভয়াবহতা ও প্রতি‌দিন হাজা‌রো মানু‌ষের মৃত‌্যুর মি‌ছি‌লের ম‌ধ্যে বাংলা‌দেশি, পা‌কিস্তানি ও অশ্বেতাঙ্গসহ জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ম‌ধ্যে এমন অনাগ্রহ ও ভী‌তির খবর উদ্বিগ্ন ক‌রে তু‌লে‌ছে ব্রিটে‌নের নী‌তি‌নির্ধারক‌দের।

ব্রিটিশ সরকারের বৈজ্ঞানিক উপ‌দেষ্টা‌দের হা‌তে থাকা তথ‌্য অনুসা‌রে, ৪২ শতাংশ বাংলা‌দেশি ভ‌্যাক‌সিন নি‌তে একেবারেই আগ্রহী নন।

ব্রিটিশ সরকা‌রের বৈজ্ঞানিক উপ‌দেষ্টা‌রা বলছেন, ভ‌্যাক‌সি‌নের উপর ভরসার অভাব র‌য়েছে বাংলা‌দেশি ক‌মিউনি‌টি‌তে। ভ‌্যাক‌সি‌নের বিশ্বস্ততা তুলে ধরে প্রস্ততকারক, সরবরাহকারী এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ মানু‌ষের কা‌ছে জোরা‌লো ও সমন্বিতভা‌বে ভ‌্যাক‌সি‌ন গ্রহ‌ণের আহ্বান জানা‌লে প‌রি‌স্থি‌তির উত্তরণ সম্ভব ব‌লে মত দেন তারা।

লিডসভি‌ত্তিক এক‌টি মস‌জি‌দের ইমাম ও ইমাম‌দের ন‌্যাশন‌্যাল উপ‌দেষ্টা বোর্ডের সদস‌্য ক্বারী আসিম মুসলমান ক‌মিউ‌নি‌টির ম‌ধ্যে ভ‌্যাক‌সিন নি‌তে আগ্রহ সৃ‌ষ্টি কর‌তে প্রচার কার্যক্রম শুরু ক‌রে‌ছেন।

বাঙালি কমিউনিটি নেতাদের সাথে আলাপ করলে তারা ব‌লেন, আমরা বাংলা‌দেশি কমিউনিটির মানুষজন‌কে ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ কর‌তে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু কর‌ছি। তারা আরো জানান, আশি বছ‌রের বে‌শি বয়সী অনেকেই লন্ড‌নে ভ‌্যাক‌সিন নি‌য়ে‌ছেন। তা‌দের শরী‌রে কোন ধর‌নের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। ব্রিটে‌নে হাজার হাজার মানুষ মারা যা‌চ্ছেন প্রতি‌দিন ক‌রোনায় মারা যা‌চ্ছেন। এই মুহু‌র্তে ভ্যাকসিন ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। ‘ক‌মিউনিটির মানু‌ষের প্রতি আম‌া‌দের আহ্বান, নি‌জে ভ‌্যাক‌সিন নিন, অন্যকে উৎসা‌হিত করুন’।

এদিকে অশ্বেতাঙ্গ, এমন‌কি ইস্টার্ন ইউ‌রোপিয়ান কমিউনিটিতে ভ্যাকসিনের প্রতি অনাগ্রহের খবর উঠে এসেছে স্কাই নিউ‌জের খব‌রে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।