img

সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের লাশ উদ্ধার, টিকার ক্ষতি হয়নি

প্রকাশিত :  ১৪:১৭, ২১ জানুয়ারী ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:২৫, ২১ জানুয়ারী ২০২১

 সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের লাশ উদ্ধার, টিকার ক্ষতি হয়নি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পুনেতে করোনার টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে টিকার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুনেতে সেরামের মঞ্জরির কারখানার পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। এরপরই গোটা এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। গত শনিবার থেকে দেশে টিকাকরণ কর্মসূচির শুরুর পর মজুত থাকা কোভিশিল্ডের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

তবে সেরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে অনেকটা দূরে করোনাভাইরাস টিকা তৈরি ও মজুত রাখা হয়েছে। তাই কোভিশিল্ডের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। 

পরে এক বিবৃতিতে সেরাম প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানান, আগুনে ভবনটির কয়েকটি তলা ভস্মীভূত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ও মানুষকে আমি আশ্বস্ত করতে চাইছি যে একাধিক কারখানার জন্য কোভিশিল্ডের উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি হবে না। এরকম পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় আরও কয়েকটি স্থান রাখা ছিল। 

পুনের মেয়র মুরলীধর মোহল জানিয়েছেন, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় দমকল বাহিনী।  ঘটনা স্থলে দমকলের ১০ টি ইউনিট কাজ করছে। পুনের প্রধান দমকল কর্মকর্তা প্রশান্ত রনপিসে বলেন, ‘বাড়ির ভেতরে চারজন ছিলেন। আমরা এখন পর্যন্ত তিনজনকে উদ্ধার করেছি। কিন্তু ধোঁয়ার কারণে উদ্ধারকাজ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ইতিমধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
  

img

রাশিয়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে পানিতে ডুবল বাস, নিহত অন্তত ৭

প্রকাশিত :  ০৫:৩৫, ১২ মে ২০২৪

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

পরে সিসিটিভি ফুটেজেও তার সাক্ষ্য মিলেছে। ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তাদের তৎপরতার কারণেই ২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেতুটির নাম পোটসেলুয়েট ব্রিজ।

জীবিতের মধ্যে গাড়ির চালকও ছিলেন। উদ্ধারের পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা পুলিশ করেছে বলে জানিয়েছে আরটি।

আরেক রুশ সংবাদমাধ্যম গেজেটা ডট আরইউ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর