img

দেড়শো রানের আগেই গুটিয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশিত :  ০৯:১০, ২২ জানুয়ারী ২০২১

দেড়শো রানের আগেই গুটিয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দেড়শো রানের আগেই গুটিয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোভম্যান পাওয়েলের ৪১ রানে ভর করে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৪৯ রানের টার্গেট দিলো সফরকারীরা।

দিনের শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। ব্যাটিং বিপর্যয় ঠেকাতে মন্থর গতির ইনিংস খেলছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ সুনীল অ্যামব্রিস। ফের মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হলেন তিনি। পঞ্চম ওভারে দলীয় দশ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। মাঠ ছাড়ার আগে ১৫ বলে ৬ রান করেন এই ওপেনার।

পাওয়ার প্লে’র পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন চেমার হোল্ডারের পরিবর্তে নামা কেজর্ন অটলি।

কিন্তু বেশিদূর বেশিদূর যেতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বল খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন অটলি। একই ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে জশুয়া ডি সিলভাকে ফেরান মিরাজ। ২২ বলে ৫ রান করেন এই ওপেনার।

নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পেলেন সাকিব আল হাসান। আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে ফেরান ক্লিন বোল্ডে। ৭ বলে ৩ রান করেন ম্যাকার্থি।

প্রথম ১০ ওভারে রান বেশি না এলেও উইকেট ধরে খেলছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু পরের ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। বিপর্যয়ের মধ্যে বিপদ বাড়িয়ে রান আউট হন কাইল মেয়ার্স। আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার ফিরেন বিনা রানে। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে অসহায় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা অবশেষে ২০.২ ওভারে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে।

জেসন মোহাম্মদ ও এনক্রুমাহ বনার জুটি গড়তে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা দীর্ঘায়িত হতে দিলেন না সাকিব। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসনকে ফেরান তিনি। ভাঙল ৩৯ বলে ২৬ রানের জুটি। ২৬ বলে ১১ রান করেন জেসন।

নবাগত হাসান মাহমুদের শিকার হলেন এনক্রুমাহ বনার। হাসানের পেস খেলতে গিয়ে ইনসাইডেস বোল্ড হন তিনি। ফেরার আগে বনারের সংগ্রহ ২৫ বলে ২০ রান। নতুন স্পেলে ফিরে প্রথম ওভারেই নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেলেন মিরাজ।  এলবিডব্লিউ’তে ফেরান রেইফারকে।

উইন্ডিজদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রোভম্যান পাওয়েল। তার ব্যাটে ভর করেই ১৪৮ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজের বলে ফেরার আগে ৬৬ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন মিরাজ। ৯.৪ ওভারে ২৫ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন এই স্পিনার। এছাড়া মোস্তাফিজ ২/১৫, হাসান মাহমুদ ১/৫৪, সাকিব ২/৩০ উইকেট নেন।


img

যে কারণে বাদ সাইফউদ্দিন

প্রকাশিত :  ১০:৪৯, ১৪ মে ২০২৪

অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এই দলে রয়েছে বেশ কয়েকটা চমকও। ইনজুরিতে থাকা তাসকিন আহমেদকে আইসিসির এই মেগা আসরে টাইগারদের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে দলে জায়গা মেলেনি পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় উৎরে গেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

৩৬ মিনিটের সংবাদ সম্মলেনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর তানজীমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। 

এক প্রশ্নের উত্তর লিপু বলেন, ‘এখানে সবাই খুব ক্লোজ লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে সেটা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল যে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে তা দেখা। তো আমাদের যে আস্থার জায়গাটা। সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এজন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’

সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাইফুদ্দিন খেলেছেন ৪ ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম তিনটি আর ঢাকায় শেষ ম্যাচটি। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত, ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এরপরের তিন ম্যাচে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্স যথাক্রমে ১ উইকেটে ৩৭, ৩ উইকেটে ৪২ ও ১ উইকেটে ৫৫ রান।

শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাত খুলে রান দেয়াটাই কাল হয়েছে সাইফুদ্দিনের। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তানজীম হাসান সাকিব দুই ম্যাচ খেলেন। চট্টগ্রামে ১ ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, ঢাকায় চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। 

৪ ম্যাচে সাইফুদ্দিন ৮ উইকেট নিয়েও কেন বাদ? অন্যদিকে মাত্র ১ উইকেট নেওয়া তানজীমে কেন নির্বাচকদের আস্থা? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সাকিবকে (তানজীম) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফুদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে।’

‘আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের সঙ্গেই লড়াই চলছিল’-আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক। 

বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজরে আসেন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করা সাইফুদ্দিন। ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৬৩ রান। ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়নে রাখেন বড় ভূমিকা। তবে সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি জিম্বাবুয়ে সিরিজে। তাই তো দলে থেকেও শেষ পর্যন্ত নাই হয়ে গেলেন।