ইকোনমিস্টের পূর্বাভাস

img

চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১৭:০০, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮ শতাংশ

জনমত ডেস্ক :চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরই প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক পূর্বাভাসে এ তথ্য উঠে এসেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কর্মসংস্থান এবং জীবনযাত্রায় যে ধাক্কা লেগেছে, তা কাটিয়ে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বাংলাদেশের। করোনার আগে এক দশক ধরেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগ বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে, যেখানে ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। মূলত করোনা মহামারির কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরটা পুরোপুরি করোনা মহামারি সামলাতেই কেটেছে বিশ্বের। শেষদিকে এসে টিকার কিছু সুখবর এসেছে, তবে এই টিকা বিশ্ব অর্থনীতিতে কতটা চাঞ্চল্য ফেরাতে পারবে, তা বুঝতে হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে। চলতি বছর মহামারি-পরবর্তী প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির গতি বাড়তে পারে।

দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ প্রবৃদ্ধি হবে ম্যাকাওয়ের, ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া প্রবৃদ্ধি বেশি যেসব দেশে হবে এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ (প্রবৃদ্ধি হবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডসের সেন্ট মার্টেন (৯ দশমিক ৩ শতাংশ), অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা (৮ শতাংশ), সেন্ট লুসিয়া (৮ শতাংশ) এবং মালদ্বীপ (৮ শতাংশ)। 

অন্যদিকে বিশ্বের বড় পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, চীনের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, জাপানের ১ দশমিক ৭ শতাংশ, জার্মানির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ও ভারতের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, ফ্রান্স ৭ দশমিক ১ শতাংশ, ইতালি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, ব্রাজিল ৩ শতাংশ এবং কানাডা ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।

img

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে আইসিবি পাচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১০:১৯, ১৩ মে ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। শেয়ারবাজারের কার্যক্রম বাড়ানো এবং কিছু মেয়াদি আমানত পরিশোধ করার জন্য সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল পেতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং আইসিবি-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ-নিশ্চয়তার (সভরেইন গ্যারান্টি) সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকটিকে এই তহবিল সরবরাহ করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন দিয়েছেন, শেয়ারবাজারের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী আইসিবি\'র শেয়ারবাজারের কার্যক্রমকে সমর্থনে সরকারের তৎপরতার অংশ হিসেব সরকারি সুপারিশের সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইসিবি\'র চেয়ারম্যান সুবর্ণ বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক ও আশাবাদী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইসিবিকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।

আইসিবি\'র আরেক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই তহবিলের বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া বাজারকে সহায়তা দিতে কয়েক বছর ধরে আইসিবি\'র নেওয়া উচ্চ-সুদের মেয়াদি কিছু আমানত পরিশোধ করতেও তহবিলের কিছু অংশ ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি এই তহবিল আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তাই এটি আমাদের এবং শেয়ার বাজারের জন্য খুব ইতিবাচক হবে।

এসইসি\'র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বি বলেন, তারা তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। \'কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল দিতে রাজি হয়েছে। তহবিল ছাড় হলে আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা জোরদার হবে এবং সামগ্রিক বাজার উপকৃত হবে,\' তিনি আরও বলেন।