img

লন্ডনে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান “ব্রিটিশ হেলথ এলায়েন্স” গঠন

প্রকাশিত :  ২১:০৮, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

লন্ডনে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান “ব্রিটিশ হেলথ এলায়েন্স” গঠন

জনমত ডেস্কঃ লন্ডনে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান “ব্রিটিশ হেলথ এলায়েন্স” আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। ১৮ জানুয়ারি সোমবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। ব্রিটেনের শীর্ষ স্থানীয় এনএইচএস ডাক্তারদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন বিভিন্ন পেশার অভিজ্ঞ লোকজন। পার্লামেন্ট সদস্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষকরা। সম্পূর্ণ অলাভজনক স্বাধীন এ প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পলিসি নির্ধারণের ব্যাপারে সহযোগিতামূলক কাজ করবে, এবং তৃণমূলের মানুষের স্বাস্থ্যগত ধারণা সরকারের স্বাস্থ্য নীতিতে প্রতিফলিত করাও প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। মহামারী করোনার আক্রমণের পর ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি কেমন হবে এবং তা থেকে কিভাবে দ্রুত উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

এ স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র যুক্তরাজ্যেই নয় তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে, এবং সে দেশের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে “ব্রিটিশ হেলথ এলায়েন্স” প্রতিষ্ঠানটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

“ব্রিটিশ হেলথ এলায়েন্স” এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, এনএইচএস এর সিনিয়র ডাক্তার, আনোয়ারা আলী এমবিই। ডেপুটি চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রফেসর নাদী হাকিম, সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন ডাক্তার এমা হোগান, এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন মিস্টার মায়াঙ্ক প্যাটেল। এছাড়াও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন, ডাক্তার  নোশাবা খিলজী, ডাক্তার হায়দার জাব্বার, কাউন্সিলর শাদ আদহ, ডাক্তার র‌্যাচেল জয়েস, আতিক রহমান, এ্যাশ জামান। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, ব্রিটিশ সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং ব্রিটিশ হেলথ এলায়েন্সের কো-প্রেসিডেন্ট ডাক্তার জেমস ডেভিস এমপি। এসময় স্বাস্থ্য এবং প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার উপর আলোচনায় অংশনেন, প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্ঠা বোর্ডের সদস্য জয় মরিসি এমপি এবং লন্ডন সিসিজি এর চেয়ার স্যার প্রফেসর স্যাম এভারিংটন সহ নতুন কমিটির সদস্যরা।

প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্ঠাদের মধ্যে আরও রয়েছেন, লর্ড এন্ড্রো শার্প, এঙ্গেলা রিচার্ডসন এমপি, বব ব্ল্যাকম্যান এমপি এবং গোট্স মহিন্দ্রা।

মহামারী করোনাভাইরাসের চলমান স্বাস্থ্য সংকটের ভয়াবহ পরিস্থিতির ফলে একটি বাস্তব সম্মত স্বাস্থ্য প্রণালী উদ্ভাবনের তাগিদে এ স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাক্তার আনোয়ারা আলী এমবিই। 

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।