img

বাইডেন প্রশাসনে মঈন খানের ভাগনি ফারাহ

প্রকাশিত :  ০৫:০৬, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

বাইডেন প্রশাসনে মঈন খানের ভাগনি ফারাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনে নিয়োগ পেয়েছেন আরও এক বাংলাদেশি ফারাহ আহমেদ। দেশটির কৃষি বিভাগের অধীন পল্লী উন্নয়ন আন্ডার সেক্রেটারির কার্যালয়ে চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান ফারাহর মামা এবং তার নানা ড. আব্দুল বাতেন খান বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

ফারাহর বাবা ড. মাতলুব আহমেদ এবং মা ফেরদৌস আহমেদ দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। ফারাহর বাবা-মা নরসিংদীর সন্তান। 

এর আগে, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাইন সিদ্দিক। 


জো বাইডেনের সঙ্গে ফারাহ আহমেদ

ফারাহ আহমেদের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির জন্য এটাই সর্বোচ্চ পদ।

ফারাহ আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাচনের সময় তিনি আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নির্বাচন পরিচালনার মুখ্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং  প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

এদিকে, বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ পদে পর পর দু\'জন বাংলাদেশশি নিয়োগ লাভে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।  এ নিয়োগ নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-আমেরিকানদের জন্য অনুপ্রেরণা জাগাবে বলে মত প্রবাসীদের।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৩:২২, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জনমত ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত বাংলাদেশ বিষয়ক হাই প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলী এমপির সভাপতিত্ব এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বব ব্ল্যাকম্যান এমপি এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য রাখেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  \"বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।\"

তিনি আরও বলেন, \"বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।\" তিনি উল্লেখ করেন যে, \"বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার এখনও অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে।\"

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, \"যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাংলাদেশী রেস্তোরাঁগুলি বর্তমানে সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। যুক্তরাজ্য সরকার ন্যূনতম বার্ষিক বেতন  ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করায়, অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষেই এই পরিমাণ বেতন দিয়ে কর্মি রাখা প্রায় অসম্ভব।\"


প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি আরও বলেন, \"বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এবং খামার শ্রমিক দিতে পারে যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।\"

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, \"বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করছে।\"

তিনি উল্লেখ করেন যে, \"গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক কেয়ারগিভার যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী খামার শ্রমিকদের নিয়োগও শুরু হয়েছে।\'

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুশনারা আলী এমপি। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট জনরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।

একই দিনে মন্ত্রী শফিকুর পূর্ব লন্ডনে ইউকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক সভায়ও যোগ দেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর