img

ব্রিটিশ জনগণের লক্ষ্য আমাদের চেয়ে আলাদা নয়: ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত :  ১৩:১৭, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৬, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

ব্রিটিশ জনগণের লক্ষ্য আমাদের চেয়ে আলাদা নয়: ম্যাক্রোঁ

জনমত ডেস্ক : কিছুদিন আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে স্থায়ীভাবে বের হয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। বাণিজ্য চালু রাখতে নতুন চুক্তি হলেও তাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যাধিক মাখামাখিও ভালো দৃষ্টিতে দেখছে না যুক্তরাজ্যের প্রতিবেশীরা। এ নিয়েই যেন হালকা হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ব্রিটিশদের লোকদেখানো বন্ধুত্ব বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ব্রিটেন কোন রাজনীতি বেছে নেবে? এটা যুক্তরাষ্ট্রের সেরা মিত্র, ইইউর সেরা মিত্র এবং নতুন সিঙ্গাপুর হতে পারে না। তাদের যেকোনো একটা কৌশল বেছে নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় দেশটির (যুক্তরাজ্য) নেতারা এই সব কৌশলই বিক্রি করেছেন। তারা যদি পুরোপুরি ট্রান্সআটলান্টিক নীতি নিয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের (ইইউ) এর স্পষ্টতা দরকার। কারণ তখন নিয়ম এবং বাজার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে।

ম্যাক্রোঁ বলেন, যুক্তরাজ্য যদি নতুন সিঙ্গাপুর হতে চায়, যেটা তারা একসময় হতে চেয়েছিল আমি জানি না কী হবে। এই সিদ্ধান্ত আমার না। তবে আমি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাইব। আমাদের ভাগ্য পরস্পর সংযুক্ত, আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপ সংযুক্ত। আমাদের গবেষক এবং শিল্পপতিরা একসঙ্গে কাজ করেন আমি সার্বভৌম দেশ ও মহাদেশে বিশ্বাস করি, নব্য-জাতীয়তাবাদে নয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিন্ন উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং একটি অভিন্ন লক্ষ্যের জন্য আমি রয়েছি। আশা করি বরিস জনসনও সেই পথে থাকবেন। কারণ আমার ধারণা, ব্রিটিশ জনগণ সেটাই চায়। আমরা মিত্র থাকি। ইতিহাস এবং ভূগোল পরিবর্তিত হয় না। তাই আমার মনে হয় না, ব্রিটিশ জনগণের লক্ষ্য আমাদের চেয়ে আলাদা।

এসময় ভ্যাকসিন, ব্রেক্সিট এবং করোনাজনিত সমস্যায় পরস্পরকে দোষারোপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে ম্যাক্রোঁ কিছুটা কৌতুক করেই বলেন, যখনই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়, ব্রিটিশরা ফ্রান্সকে ও আমাকে দোষারোপ করতে ভালোবাসে, আর বলতে থাকে, এর জন্য আমরাই দায়ী। আমি এটা মেনে নিয়েছি।

এদিন কোনো রাখঢাক না করেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেন, আমি আগেও বলেছি, ব্রেক্সিট ভুল বলে মনে করি। আমি জনগণের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং জনগণ ভোট দিয়েছে। সুতরাং এটা হতেই হতো। কিন্তু আমার মনে হয়, সেই ভোট ছিল অনেক মিথ্যার ভিত্তিতে এবং এখন আমরা দেখতেই পাচ্ছি, এটি অনেক বিষয় কঠিন করে তুলেছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।