img

জনগণকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামতে বললেন সু চি

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জনগণকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামতে বললেন সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের পক্ষ থেকে সোমবার সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নেতা অং সান সু চি জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে জনগণকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী।

এনএলডি’র বিবৃতিতে দলটি জানিয়েছে, \'সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবারো স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়ার পদক্ষেপ।\' সু চির নামে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমি জনগণকে এই পরিস্থিতি মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানাই। আমি তাদের সামরিক পদক্ষেপের জবাব দিতে এবং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।’

২০২০ সালের নভেম্বর মাসের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সেনাবাহিনী সমর্থিত প্রভাবশালী বিরোধী দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কদিন আগে সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাং বলেন, প্রয়োজন হলে সংবিধান বাতিল করা হতে পারে। তারপর থেকেই অভ্যুত্থানের গুঞ্জন শুরু হয়। এরপর অভ্যুত্থানের আশঙ্কা প্রকাশ করে এর নিন্দা জানায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তবে এ আশঙ্কাকে ভুল বলে বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। এর দু\'দিন পরই গ্রেফতার হলেন সু চি, মিন্টসহ দেশটির নির্বাচিত শীর্ষ নেতারা।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।