মনে হয় এই তো সেদিন বিয়ে করলাম: মৌসুমী

প্রকাশিত :  ০৮:১৪, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মনে হয় এই তো সেদিন বিয়ে করলাম: মৌসুমী

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি মৌসুমী ও নায়ক ওমর সানি। ভালোবেসে তারা বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৫ সালের ৪ মার্চ। তাদের বিয়ের ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে।

বেশিরভাগ তারকা দম্পতির সংসার খুব বেশি দিন না টিকলেও বিয়ের আড়াই যুগ পার করে দিয়েছেন মৌসুমী-ওমর সানি দম্পতি। তাদের ঘর আলো করে এসেছে দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজা।  

তবু বিবাহবার্ষিকী এলে আজও মৌসুমীর মনে হয়, এই তো সেদিন তাদের বিয়ে হয়েছে।   

মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে মৌসুমী বলেন, বিয়ের পর ২৫ বছর চলে গেছে। বিবাহবার্ষিকী এলে আজও মনে হয়, এই তো সেদিন বিয়ে করলাম। কবে, কখন এতটা সময় পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি!

ঢালিউড অভিনেত্রী মৌসুমী বলেন, ‘সব কিছুই ম্যানেজ করা যায়, কিন্তু সম্পর্কের ছন্দপতন খুব একটা করা যায় না। সম্পর্ক বেঁচে থাকে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস আর শ্রদ্ধায়। এটিও ঠিক, শুধু দাম্পত্যে নয়, যে কোনো সম্পর্কেই বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা থাকতে হবে।

স্বামী ওমর সানি প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘আমার স্বামী অন্যদের মতো নয়। ২৫ বছর ধরে সুখশান্তিতে ঘর করার এটিও একটি অন্যতম কারণ। অনেক মেয়েই তাদের স্বামীকে নিয়ে খুব আফসোস আর দুঃখ করে। নানা রকম কথাবার্তা বলে। তখন খুব খারাপ লাগে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সানিকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে হয়নি আমার। সানির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, খুব সহজে মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। যত সহজে রাগে, তার চেয়ে তার দ্রুত রাগ কমে যায়। মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। এটি আমার খুব পছন্দ।’

চুপিসারে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী!

প্রকাশিত :  ০৪:৩৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

চুপিসারে বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। ঢাকঢোল তো দূরের কথা, ‘ডানকি’ নায়িকা তাপসী পান্নুর বিয়ের খবর যেন জানল না কাকপক্ষীও। দুই দিন আগেই নাকি এক দশকের পুরোনো প্রেমিক ম্যাথিয়াস বোয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নায়িকা। শোনা যাচ্ছে, ‘রং দে বসন্তী’ অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন অদিতি রাও হায়দরি। 

তেলেঙ্গনার রঙ্গনয়কস্বামী মন্দিরেই বিয়ে সেরেছেন যুগল। তবে তাদের যে পুরোহিত বিয়ে দিয়েছেন তাকে নিয়ে আসা হয় তামিলনাড়ু থেকে। যদিও অদিতি বা সিদ্ধার্থ, কেউই বিয়ে নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। 

সিদ্ধার্থ ও অদিতি, দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভাঙে বিয়ে। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পটাও খানিক এক রকমের। মাত্র ২১ বছরেই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর সংসার ভাঙে নায়িকার। ২০১৩ সালে আলাদা হন দু’জনে। তার প্রায় ১১ বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি।

২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী সিনেমা ‘মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। সিনেমার সেট থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সোশ্যাল সাইটে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।  

অদিতির জন্মদিনে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সিদ্ধার্থ। সেই পোস্টে অদিতিকে ‘প্রিন্সেস অফ হার্ট’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। মায়ানগরীতে ডেটেও যেতে দেখা গিয়েছে চর্চিত যুগলকে। রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় বহু বার ধরা পড়েন অদিতি ও সিদ্ধার্থ। জনসমক্ষে প্রেমের ইস্তেহার না দিলেও ক্যামেরা দেখে লুকিয়ে পড়েননি কখনওই। তবে বিয়েটা হঠাৎ এমন চুপিসারে সারলেন কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।