img

উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশের ব্যবহার হয় আবাসিক খাতে

প্রকাশিত :  ০৯:০১, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশের ব্যবহার হয় আবাসিক খাতে

জনমত ডেস্ক : দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ আবাসিক খাতে ব্যবহার হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ আবাসিক খাতে, ১০ শতাংশ বাণিজ্যিক খাতে এবং ২৮ শতাংশ শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়েছে। গত ১০ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ছয় হাজার ৭২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক মহামারির কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম। ফলে মেরিট অর্ডার ডেসপাচ অনুযায়ী কিছু কিছু তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছ। এছাড়া গ্যাসের স্বল্পতার কারণে কিছু কিছু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আংশিক ক্ষমতায় চালু রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি থেকে বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে বিদ্যুতের চাহিদা এবং উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিকখাতে গ্যাসের অপচয় রোধ ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহারে ইতোমধ্যে দুই লাখ ৭৩ হাজার ১০০টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য আবাসিক গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটারের প্রাপ্যতা সহজতর করতে বেসরকারি পর্যায়েও প্রি-পেইড মিটার সরবরাহেরর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ২৭টি গ্যাস ক্ষেত্রের বর্তমানে (১ জানুয়ারি ২০২১) দেশে মোট গ্যাসের মজুত ১০.০৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)।

সরকারি দলের অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহস্থালী ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান আপাতত স্থগিত রয়েছ। তবে, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কারাগার এ নির্দেশনার আওতার বহিভুক্ত। এজন্য ঢাকা মহানগরীতে সরকারি-বেসরকারি নির্মিতব্য নতুন আবাসিক ভবনে গ্যাস সংযোগের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই।

হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আইন অনুযায়ী এলপিজি গ্যাসের পাইকারি ও খুচরা মূল্য নির্ধারণের কর্তৃত্ব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের। কমিশন পর্যায়ে মূল্য পুননির্ধারণের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানান, বর্তমানে দেশে  ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের কারখানাগুলোতে উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৪ মেট্রিন টন। অবশিষ্ট চাহিদা মেটাতে কাফকো (বাংলাদেশ) ও বিদেশ থেকে আমদানি হয়।

img

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা যাবে কুরবানির আগেই : রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত :  ১১:১০, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত এইচ ই মি. পাওলো ফার্নান্দো ডিয়াজ পেরেজ জানিয়েছেন, সরকার অনুমতি দিলে কুরবানির ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ডিপ্লোমেটিক কারেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত \'ডিক্যাব টক\' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডিক্যাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিবের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের খামারগুলো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পশু প্রস্তুত করেছে। দীর্ঘদিন থেকে ব্রাজিল সারা বিশ্বে গোমাংস রপ্তানি করে আসছে। এর আগে বাংলাদেশে মাংস রপ্তানির আগ্ৰহ দেখিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে জীবন্ত পশুর বিশাল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে আগামী জুনের ভেতর জীবন্তু গরু আনা সম্ভব।

রাষ্ট্রদূত পেরেজ বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিলের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে দ্বিপাক্ষিক চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে দুই দেশের সরকার কাজ করছে।

বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে পাট রপ্তানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য নেওয়ার আগ্ৰহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের ব্যবসায়ীরা। আশা করি খুব দ্রুত এ বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারব।