img

যেভাবে চলছে ভেজাল মদের ব্যবসা

প্রকাশিত :  ০৮:৫১, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

যেভাবে চলছে ভেজাল মদের ব্যবসা

জনমত ডেস্ক : বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতলে ভেজাল মদ ভরে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। আর তা পান করেই সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। করোনায় মদের আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়েই চলছিল এ বাণিজ্য।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানার খিলবাড়ীর টেকমুক্তি পল্লী ইউনিয়ন পরিষদ রোডের বেস্ট ফিউচার স্কুলের কাছে একটি কারখানায় অভিযান চালায় ডিবি গুলশান টিম ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ছয়জনকে। অভিযানে উদ্ধার হয় দুই শতাধিক ভেজাল মদের বোতল।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, কাঠের কাজে যে স্পিরিট ব্যবহার করা হয় সেটার সঙ্গে প্রথমে মেশানো হয় কাপড় বা খাবারের রং। পরে চিনির রস ও কিছু রাসায়নিক। এসব দিয়েই তারা ভেজাল মদ বানাতো।

বগুড়া ও ঢাকায় ১৩ জনের মৃত্যু

ভেজাল মদ পান করে বগুড়া ও ঢাকায় গত দুদিনে ১৩ জন মারা গেছে। এরমধ্যে বগুড়ার দুটি হোমিও হল থেকে কেনা মদ পান করে মারা যান আটজন। এখনও অসুস্থ সাতজন। অপরদিকে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে একই ধরনের মদ পান করে মারা যান পাঁচজন। এরপরই নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান শুরু করে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে।

যেভাবে বানানো হচ্ছে

এ কাজে মাদক কারবারিরা বেছে নেন কাঠের রং মেশানোর স্পিরিট। এর সঙ্গে চিনির রস ও পানি মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় ভেজাল মদ। যার কারণে তাৎক্ষণিকভাবেই দেখা দেয় বিষক্রিয়া।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রীয় প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ডা. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ভেজাল মদে ইথানলের পরিবর্তে মিথাইল মেশানো হয়। এটাই বিষক্রিয়ার প্রধান কারণ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)-এর উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, এই নকল মদ কারবারিরা এক গ্যালন স্পিরিট দিয়ে ১০০ বোতল ‘বিদেশি মদ’ বানায়। পরে তা হোম ডেলিভারি করে। ভাটারা থানা এলাকার গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের ছদ্মনাম ‘ক্যামিকাল ম্যান’। তার বুদ্ধিতেই ভেজাল মদ তৈরি শুরু করে চক্রটি।

হোম ডেলিভারি

ফোনে ফোনে অর্ডার নিয়ে স্পটে ভেজাল মদ পৌঁছে দিত চক্রটি। বিশেষ কায়দায় মেশিন দিয়ে লাগানো হতো বোতলগুলোর ছিপি। এসব মদ তুলনামূলক কম দামে দেওয়া হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।

img

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে আইসিবি পাচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১০:১৯, ১৩ মে ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। শেয়ারবাজারের কার্যক্রম বাড়ানো এবং কিছু মেয়াদি আমানত পরিশোধ করার জন্য সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল পেতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং আইসিবি-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ-নিশ্চয়তার (সভরেইন গ্যারান্টি) সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকটিকে এই তহবিল সরবরাহ করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন দিয়েছেন, শেয়ারবাজারের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী আইসিবি\'র শেয়ারবাজারের কার্যক্রমকে সমর্থনে সরকারের তৎপরতার অংশ হিসেব সরকারি সুপারিশের সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইসিবি\'র চেয়ারম্যান সুবর্ণ বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক ও আশাবাদী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইসিবিকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।

আইসিবি\'র আরেক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই তহবিলের বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া বাজারকে সহায়তা দিতে কয়েক বছর ধরে আইসিবি\'র নেওয়া উচ্চ-সুদের মেয়াদি কিছু আমানত পরিশোধ করতেও তহবিলের কিছু অংশ ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি এই তহবিল আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তাই এটি আমাদের এবং শেয়ার বাজারের জন্য খুব ইতিবাচক হবে।

এসইসি\'র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বি বলেন, তারা তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। \'কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল দিতে রাজি হয়েছে। তহবিল ছাড় হলে আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা জোরদার হবে এবং সামগ্রিক বাজার উপকৃত হবে,\' তিনি আরও বলেন।