মোবাইল চুরি

শমীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের সত্যতা মেলেনি

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শমীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের সত্যতা মেলেনি

বিনোদন ডেস্ক : ২০১৯ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবে মোবাইল চুরির ঘটনায় সাংবাদিকদের নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়া ও তল্লাশির অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার আদালতে ওই মামলার প্রতিবেদন জমা দেন সংস্থাটির পরিদর্শক মো. লুৎফুর রহমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে শমী কায়সারের দ্বারা বাদীকে বা উপস্থিত কোনো সাংবাদিক বা উপস্থিত অন্য কোনো ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে চোর বলে মন্তব্য করা, আটকে রাখা, তল্লাশি করা, আটকে রেখে তল্লাশি করার নির্দেশ দেয়ার বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরও বলা হয়েছে, এ ছাড়া বাদী নিজেও এরূপ কোনো প্রকার সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। এ-সংক্রান্ত কোনোরূপ স্থিরচিত্র বা ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করতেও বাদী ব্যর্থ হয়েছেন। বাদীর অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাটি অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা রক্ষীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ির কারণে ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা ছিল বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে নেয়া সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর এই মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘সত্যতা পায়নি’ মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছিলেন মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান।

সেই নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে একই বছরের ২৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগটির অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।।


চুপিসারে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী!

প্রকাশিত :  ০৪:৩৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

চুপিসারে বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। ঢাকঢোল তো দূরের কথা, ‘ডানকি’ নায়িকা তাপসী পান্নুর বিয়ের খবর যেন জানল না কাকপক্ষীও। দুই দিন আগেই নাকি এক দশকের পুরোনো প্রেমিক ম্যাথিয়াস বোয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নায়িকা। শোনা যাচ্ছে, ‘রং দে বসন্তী’ অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন অদিতি রাও হায়দরি। 

তেলেঙ্গনার রঙ্গনয়কস্বামী মন্দিরেই বিয়ে সেরেছেন যুগল। তবে তাদের যে পুরোহিত বিয়ে দিয়েছেন তাকে নিয়ে আসা হয় তামিলনাড়ু থেকে। যদিও অদিতি বা সিদ্ধার্থ, কেউই বিয়ে নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। 

সিদ্ধার্থ ও অদিতি, দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভাঙে বিয়ে। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পটাও খানিক এক রকমের। মাত্র ২১ বছরেই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর সংসার ভাঙে নায়িকার। ২০১৩ সালে আলাদা হন দু’জনে। তার প্রায় ১১ বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি।

২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী সিনেমা ‘মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। সিনেমার সেট থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সোশ্যাল সাইটে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।  

অদিতির জন্মদিনে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সিদ্ধার্থ। সেই পোস্টে অদিতিকে ‘প্রিন্সেস অফ হার্ট’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। মায়ানগরীতে ডেটেও যেতে দেখা গিয়েছে চর্চিত যুগলকে। রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় বহু বার ধরা পড়েন অদিতি ও সিদ্ধার্থ। জনসমক্ষে প্রেমের ইস্তেহার না দিলেও ক্যামেরা দেখে লুকিয়ে পড়েননি কখনওই। তবে বিয়েটা হঠাৎ এমন চুপিসারে সারলেন কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।