তিন গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেবে ২৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ০৬:১৬, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৯, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

তিন গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেবে ২৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯টিতে তিন গুচ্ছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরমধ্যে সাধারণ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ধারার ২০টি, ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তিন গুচ্ছে আলাদাভাবে পরীক্ষার আয়োজন করবে। তবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাচ্ছে না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়া ডিপ্লোমা কোর্স থাকায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়ার যুযোগ নেই ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট)। আর বিশেষায়িত তিনটি— বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি বুয়েটের সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে চাইলেও বুয়েট সম্মতি দেয়নি।  এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে মোট ৫০টি পাবলিক ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ধারার ২০টি এবং  কৃষিসহ মোট ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিচ্ছে। বাকিগুলো নিজ নিজ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে। ’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বুয়েটসহ ৫টি ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যায়লই গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিচ্ছে। মোট ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন বরবে।’

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাথমিক আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের কোনও ফি দিতে হবে না। যেসব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তারা সবাই প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ দশমিক ৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ থাকতে হবে। তবে প্রতি শাখায় (বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধু এ বছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা ৫০০ টাকা ফি জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হলো— রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।

ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো— বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাধারণ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ধারার ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


 

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১০:০৩, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টার পর অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রায় ৮০টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার অংশগ্রহণ করেছেন। 

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী। 

ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে 

কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS , 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI , 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই ইউনিটে মাত্র ১১ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেন। পাসের হার ছিলো মাত্র ৯.৬৯ শতাংশ।