img

শিরীনের জন্য রংপুর-৬ ছাড়ছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

 শিরীনের জন্য রংপুর-৬ ছাড়ছেন শেখ হাসিনা

জনমত রিপোর্ট  ।। দুটি আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত একটি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। মনোনয়নপত্র তোলা রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর জন্য।
এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় ১৯৮৬ সাল থেকে এই প্রথম একটি আসনে ভোট করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

বৃহস্পতিবার রংপুরের পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা গণভবনে আসলে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা তাদেরকে বলেন, ‘তোমরা রংপুরে আমার মেয়েকে চেয়েছিলে। শিরীন আমার মেয়ে। তোমরা তাকে জিতিয়ে নিয়ে এসো। তোমরা কাজ করো।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া-কোটালিপাড়া উপজেলা নিয়ে গোপালগঞ্জ-৩ এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা রংপুর-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সে সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, তাদের দলে একমাত্র শেখ হাসিনা দুটি আসনে লড়বেন।

তবে রংপুর-৬ আসনে শেখ হাসিনার পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয় শিরীন শারমিনের নামেও। ২০১৪ সালে এই আসনটিতে জেতার পর উপনির্বাচনে তাকেই প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ এবং তিনি বর্তমানে ওই আসনের সংসদ সদস্য।

১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ছয়টি নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে অংশ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এবার মিলে তিনি দাঁড়াচ্ছেন সপ্তমবারের মতো।

অন্যদিকে নিজের শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুর-৬ আসনে শেখ হাসিনা অংশ নিয়ে আসছেন ২০০১ সাল পর্যন্ত। তিনটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর এবার তিনি আর সেখানে লড়ছেন না সেখান থেকে।

তবে এই বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অপেক্ষা করুক। আজ কালকের মধ্যেই বিষয়টি জানতে পারবেন।’

img

সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৮:২৭, ০৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৪৯, ০৬ মে ২০২৪

তীব্র তাপদাহের পরে সারাদেশে কালবৈশাখীর ঝড়, বজ্রসহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত এবং রোববার (৫ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। এতে ছয় জেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো :
কিশোরগঞ্জ : শনিবার (৪ মে) রাতে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়। এতে আরও একজন আহত হন। মৃতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুপ তারা (৪৬) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

টাঙ্গাইল : ঘাটাইলের ফতেরপাড়া-খিলপাড়া সড়কে গত শনিবার রাতে বৃষ্টিপাতে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়। ওয়াজেদ উপজেলার ২ নম্বর ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

ইসলামপুর (জামালপুর) : ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের কটাপুর এলাকায় শনিবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে আব্দুল মজিদ (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মজিদ ওই এলাকার বাসিন্দা।

খাগড়াছড়ি : দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার ভোরে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে একটি টিনের ঘরে আগুন লেগে হাসিনা বেগম (৩০) ও ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়। এ সময় সঙ্গে থাকা তার আরেক ছেলে মো. হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যায়। তবে ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী ছাদেক মিয়া বাড়ির বাইরে ছিলেন। একই দিন ভোরে বজ্রপাতে উপজেলার ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম হাজাছড়া (ডাক্তারপাড়া) এলাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে গংজ মার্মাসহ (৫০) দুটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়। গংজ মার্মা দুর্গম হাজাছড়া এলাকার কংজ্র মার্মার ছেলে। একই সময় মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সমিকা ত্রিপুরা (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

রাঙামাটি : কাউখালী উপজেলায় বজ্রপাতে আর্ষা চাকমা (১৪) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু ও আহত হয় আরও ৪ জন। রোববার সকালে উপজেলার দুর্গম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বার্মাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আর্ষা চাকমা বর্মাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় রোববার সকাল ছয়টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এতে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতিতে অন্তত ১০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। অনেক এলাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত পিন্টু বড়ুয়া বলেন, তার একমাত্র অবলম্বন ঘরটি বড় গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।