img

ভারতে তুষারধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬, নিখোঁজ দেড়শতাধিক

প্রকাশিত :  ১০:৪৫, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভারতে তুষারধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬, নিখোঁজ দেড়শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে হিমবাহ গলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববারের এ দুর্ঘটনায় এখনো নিখোঁজ দেড় শতাধিক। তাদের বেশিরভাগই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে দুর্ঘটনার দু\'দিন পরও অভিযান অব্যাহত রেখেছেন উদ্ধারকারীরা।

নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশায় দিনের পর ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে সোমবার রাতেও চলে উদ্ধার অভিযান। যে গুহাটির ভেতর সবচেয়ে বেশি মানুষ আটকা পড়েছিল, সেটি অনেকটাই পরিষ্কার করেছেন উদ্ধারকারীরা।

অভিযানের প্রথম দিকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখন সে সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। সেইসঙ্গে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।

মাঝেমধ্যেই জোয়ারের পানি গুহার ভেতর প্রবেশ করছে। এতে উদ্ধার অভিযান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। দিনের বড় একটা সময়ই আমরা কাজ করতে পারছি না। জোয়ারের পানির জন্য আমরা অনেক বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।

সোমবার আবারো ঘটনাস্থল পারিদর্শন করে সামগ্রিক উদ্ধার অভিযান তদারকি করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেনন্ড্রো সিং রাওয়াত। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

প্রথমেই নিখোঁজদের উদ্ধারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো নির্মাণের দিকে জোর দেওয়া হবে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ গলে রাজ্যের চমোলি জেলায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। এতে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বহু মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু অবকাঠামো।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত :  ১৫:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এ সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।

এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এসব কথা বলেন। আইপিএস ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। আইপিএস এই সম্পর্কে কী মাত্রা যোগ করেছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ সমর্থন করে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না। ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর