img

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জিয়ার খেতাব বাতিলের পায়তারা : সিলেট বিএনপি

প্রকাশিত :  ০৬:২০, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জিয়ার খেতাব বাতিলের পায়তারা : সিলেট বিএনপি

জনমত ডেস্ক : জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের \'অপ-রাজনীতি\' ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মামলা ও রায়ের প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সিলেট নগরীর রেজিষ্ট্রারী মাঠে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মামলা ও আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছাতেই হয়। সরকারের নির্দেশে নড়াইলের আদালত যে ফরমায়েশি রায় দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমানের উপর একের পর এক ফরমায়েশী রায় দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমানোর পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বর্তমান সরকার। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেশ যখন মাফিয়া রাষ্ট্রে রূপান্তরিত তখন জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এ ধরনের একটি রায় দিয়েছে সরকার। অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা ও রায় প্রত্যাহার করা না হলে অচিরেই সিলেট থেকে সরকার পতনের দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন তিনি।  

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেকের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ও মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, সহ সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কাশেম, শামীম আহমদ, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহ নেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন রানা, আলী হায়দার মজনু, উজ্জল রঞ্জন চন্দ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আমির হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য মাজহারুল ইসলাম ডালিম, মহানগর বিএনপির পরিবার কল্যাণ সম্পাদক লল্লিক আহমদ চৌধুরী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খছরুজ্জামান খছরু, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার তুতু, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কয়েছ আহমদ সাগর, সাব্বির আহমদ, ময়নুল হক স্বাধীন। যুবদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহিবুর রহমান সুজান, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, সোহেল মাহমুদ, লোকমান আহমদ, আব্দুল্লাহ শফি সাহেদ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লিটন আহমদ, কয়েছ আহমদ, মহানগর সদস্য এমদাদুল হক স্বপন, মোজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মির্জা সম্রাট, ওসমান গনি, জয়নুল ইসলাম জনি, মতিউর রহমান আফজল, ইছহাক আহমদ, নাসির উদ্দিন রহিম, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাকিল মোর্শেদ, আলী আনসার, মাছুম রাজ্জাক রুমেল, রশীদুল হাসান খালেদ, তানিমুল ইসলাম তানিম, মো. জাহেদ, লুৎফুর রহমান, আব্দুল মালেক, আফসর খান, এনামুল হক সোহেল, সৈয়দ আমির আলী, ফাহিম আহমদ, সালেক খান, আব্দুল মনাফ, জীবন আহমদ, প্রভাষক মকসুদ আলম, সাইফুল ইসলাম কোরেশী, জাহেদ আহমদ, সৈয়দ রাজন, গোলাম রব্বানী, চমন আহমদ, রেদওয়ান আহমদ, সৈয়দ আহমদ দিপক, মোস্তাক আহমদ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার এ নজীরবিহীন রায়ও বর্তমান সরকার প্রধানের ইচ্ছারই প্রতিফলন। বক্তারা বলেন, সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের পায়তারা করছে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিকরা তা কখনো মেনে নিতে পারে না।

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর