img

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান বাইডেন

প্রকাশিত :  ০৬:০২, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান বাইডেন

জনমত ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনও একই সুরে কথা বলেছিল। কিন্তু তারা এ লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনের আমলে এই কারাগার বন্ধের সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জেন পাসাকি বলেন, নিশ্চিতভাবে এটিই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে প্রশাসন এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও তিনি জানান। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে তার নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুয়ানতানামো কারাগার রেখে দেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন।

ওবামা তার শাসনামলে চেষ্টা করেও কংগ্রেসের কারণে গুয়ানতানামো বন্ধ করার কাজে সফল হতে পারেননি। ওই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন।

গুয়ানতানামো বে কারাগারে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে জড়িতদের বন্দী রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার স্বঘোষিত মূল হোতা খালেদ শেখ মোহাম্মদও রয়েছেন।

এখানে এখনো ৪০ জন বন্দী রয়েছে। ৯/১১ হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী কিউবার পূর্বাঞ্চলে এ কারাগার প্রতিষ্ঠা করে।

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।