img

২০৬ জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলো বিএনপি

প্রকাশিত :  ১৬:০৮, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১৯, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

২০৬ জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলো বিএনপি

জনমত রিপোর্ট ।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০৬ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিল বিএনপি। 

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। 

প্রার্থীতা ঘোষণার সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অনেক প্রতিকুল অবস্থা মধ্যে অংশ নিচ্ছি। গণতান্তিক অন্দোলন, এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির অংশ হিসেবে।’

 শুক্রবার শুধু বিএনপির ২০৬ টি আসনের তালিকা দিচ্ছে দেয়া হয়েছে। বিশ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের তালিকা চূড়ান্ত করে শনিবার দিবে।

বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়াদের মধ্যে ঢাকা-২ ইরফান ইবনে আমান অমি, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা, ঢাকা-৪ সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১২- সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা-১৩ আব্দুস সালাম, ঢাকা-১৬ আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৯ দেওয়ান সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-২০ তমিজ উদ্দিন।  

গাজীপুর-১ চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, গাজীপুর-২ সালাহউদ্দিন সরকার, গাজীপুর-৩ শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫ ফজলুল হক মিলন, নারায়নগঞ্জ -২, নজরুল ইসলাম আজাদ।

রাজবাড়ী- ১ আলী নেওয়াজ খৈয়ম, রাজবাড়ী-২ নাসিরুল হক সাবু, ফরিদপুর-১ শাহ মো. আবু জাফর, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ, ফরিদপুর-৩ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর-৪ খন্দকার ইকবাল হোসেন।

গোপালগঞ্জ-১ এমডি সেলিমুজ্জামান, গোপালগঞ্জ -২, মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ -৩ এসএম আফজাল হোসেন, মাদারীপুর-১ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, মাদারীপুর-২ মিল্টন বৈদ্য, মাদারীপুর-৩, আনিসুর রহমান তালুকদার, শরীয়পুর-২ শফিকুর রহমান কিরন, শরীয়পুর-৩ মিয়া নুরুউদ্দিন আহমেদ অপু। 

মুন্সিগঞ্জ-১ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সিগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সীগঞ্জ-৩ আবদুল হাই। নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী- ২ ড. আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী-৪ সরদার মো. সাখাওয়াত হোসেন বকুল।। 

কিশোরগঞ্জ-১ রেজাউল করিম খান, কিশোরগঞ্জ-২ মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ-৪ মো. ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, কিশোরগঞ্জ-৬ মো. শরিফুল ইসলাম।

টাঙ্গাইল-১ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২ সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৫ মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৬ গৌতম চক্রবর্তী, টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। মানিকগঞ্জ-১ এস জিন্নাহ কবির, মানিকগঞ্জ-২ মাঈনুল ইসলাম খান।

ময়মনসিংহ-২ শাহ শহিদ সারোয়ার, ময়মনসিংহ-৩ আহমেদ তাইবুর রহমান হিরন, ময়মনসিংহ-৫ মো. জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-৬ শামসুদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ মো. জয়নাল আবেদীন, ময়মনসিংহ-৯ খুররম খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১ ফখরুদ্দিন আহমেদ।

জামালপুর-২ এএইচ সুলতান মাহমদু বাবু, জামালপুর-৩ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪ ফুরিদুল কবির তালুকদার শামীম, জামালপুর-৫ মো. ওয়ারেস আলী মামুন।

নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনা-২ আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী, নেত্রকোনা-৪ তাহমিনা জামান। শেরপুর-১ সারসিনা সাবরিন, শেরপুর-২ মুখলেসুর রহমান রিপন, শেরপুর-৩ মো. মাহবুবুল হক রুবেল।

খুলনা-১ আমির এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসমলাম বকুল, খুলনা-৪ আমিরুল ইসলাম, বাগেরহাট-১ মো. শেখ মাসুদ রানা, বাগেরহাট-২ এমএ সালাম, সাতক্ষীরা-১ হাবিবুল ইসলাম হাবীব।

মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন, মেহেরপুর-২ জাবেদ মাসুদ, কুষ্টিয়া- ১ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ জাকির হোসেন সরকার কুষ্টিয়া-৪ মেহেদী আহমেদ রুমি, চুয়াডাঙ্গা-১ মো: শরিফুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদুল হাসান খান। 

যশোর-১ মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-৩ অনিদ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ মো. টিএইচ আইয়ুব, যশোর-৬ মো. আবুল হোসেন আজাদ, ঝিনাইদেহ-২ আব্দুল মজি, ঝিনাইদেহ-৪ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ,  মাগুরা-১ মো মানোয়ার হোসেন, মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধূরী, নড়াইল-১ এসএম সাজ্জাদ হোসেন। 

রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩ রিটা রহমান, রংপুর-৪ মো. এমদাদুল হক, রংপুর-৬ মো. সাইফুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-৩ জাহিদুর রহমান, পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার মো. নওশাদ জামিল, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, দিনাজপুর-২ মোহাম্মদ সাদি, দিনাজপুর-৪ মো. আখতারুজ্জামান মিঞা, দিনাজপুর-৫ আলহাজ্ব এ জেড এম রেজওয়ানুল হক।

নীলফামারি-১ রফিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ মো. হাসান রাজীব প্রধান, লালমনিরহাট-২ মো. রোকন উদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ আসাদুল হাবিব দুলু, কুড়িগ্রাম-১ সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-৩ তাসভীর উল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ মো. আজিজুর রহমান।

গাইবান্ধা-৪ ফারুক কবির আহমেদ, গাইবান্ধা- ৫ ফারুক আলম সরকার, জয়পুরহাট-১  মতিউর রহমান, জয়পুরহাট-২ এউএম খলিলুর রহমান। 

রাজশাহী-১ আমিনুল হক, রাজশাহী-২ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ শফিকুল ইসলাম মিলন, রাজশাহী-৪ আবু হেনা, রাজশাহী-৫ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নাটোর-১ কামরুন্নাহার শিরিন, নাটোর- ২ সাবিনা ইয়াসমিন, নাটোর-৩ দাউদার মাহমুদ, নাটোর-৪আব্দুল আজিজ।

বগুড়া - ১ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৪ মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৫ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশীদ। নওগাঁও- ৩ পারভেজ আরেফিন, নওগাঁও-৫ জাহিদুল ইসলাম ধলূ, নওগাঁও-৬ আলমগীর কবির

সিরাজগঞ্জ -১ রুমানা মোর্শেদ কনক চাপা, সিরাজগঞ্জ-৩  আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৫ আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সিরাজগঞ্জ-৬ কামরুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিশ, পাবনা - ২ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৩ কে এম সেলিম রেজা, পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব।

চট্টগ্রাম-৪ ইসহাক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৬ জসিমউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৭ কুতুবউদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম-৯ ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ আব্দুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। 

কক্সবাজার-১ হাসিনা আহমেদ, কক্সবাজার-২ আলমগীর মো. মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, কক্সবাজার-৩ লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ শাহাজাহান চৌধুরী; খাগড়াছড়িতে শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, রাঙ্গামাটিতে মনি স্বপন দেওয়ান, বান্দরবানতে সাচিং প্রু জেরি।

নোয়াখালী- ১ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ জয়নাল আবদীন ফারুক, নোয়াখালী-৩ বরকতউল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নোয়াখালী-৬ ফজলুল আজীম, ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), ফেনী-৩ মোহাম্মদ আকবর হোসেন

কুমিল্লা- ১, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা- ২ ড. খন্দকার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা- ৩, কাজী মজিবুল হক, কুমিল্লা- ৮ জাকারিয়া তাহের, কুমিল্লা- ৯ আনোয়ারুল। 

সিলেট-৪ দিলদার হোসেন সেলিম, হবিগঞ্জ-৩ জি কে গউছ, সুনামগঞ্জ -১ নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ- ২, মো. নাছির চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪, মো. ফজলুল হক আসপিয়া, সুনামগঞ্জ-৫ মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী। 

পটুয়াখালী-১ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মওলা রনি, পটুয়াখালী-৪ এবিএম মোশাররফ হোসেন, ভোলা-২ হাফিজ ইব্রাহীম, ভোলা-৩ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম।

বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরফুদ্দিন আহমেদ, বরিশাল-৩ জয়নুল আবেদীন, বরিশাল-৪ মজিবুর রহমান সারোয়ার, বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-১ মো. শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠি-২ দিবা আমিন খান, পিরোজপুর-৩ মো. রুহুল আমিন দুলাল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।

img

রাজধানীতে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১০, ১৪ মে ২০২৪

১৮ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় রড দিয়ে পিটিয়ে শিল্পী বেগম নামে ১১ বছর বয়সি গৃহকর্মীকে খুনের দায়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোডে মতিঝিল থানাধীন এলাকায় আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

পরে ভিকটিমের মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করা হতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।