হুয়াওয়ে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করেছিলো

প্রকাশিত :  ০৭:১৪, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২২, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮

হুয়াওয়ে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করেছিলো
জনমত ডেস্ক ।। যুক্তরাষ্ট্রে জালিয়াতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ডেপুটি প্রধান মেং ওয়াঝৌ এর বিরুদ্ধে । কানাডার একটি আদালতের শুনানিতে এটি উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, মেং ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা ভেঙে দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করেছিলেন। বিবিসির খবর। কানাডার আদালত বর্তমানে মেংকে জামিন দেয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করছে। শুক্রবারের ৫ ঘণ্টা ধরে চলা শেষ হয়েছে। তবে আদালত সোমবার পর্যন্ত মুলতবী ঘোষণা করা হয়েছে।

গেল ১ ডিসেম্বর মেং ওয়াঝৌকে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার এক বিবৃতির মাধ্যমে তার আটক হওয়ার বিষয়টি প্র্রকাশ করেন কানাডার বিচার মন্ত্রী। পরে যুক্তরাষ্ট্র তাকে হস্তান্তরের দাবি জানায়।

গ্রেপ্তারের কারণ সম্পর্কে কানাডার পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে ইরানের উপর অবরোধের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আগে থেকেই তদন্ত চলছিলো যুক্তরাষ্ট্রে।

বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, মেং ওয়াঝৌকে গ্রেপ্তারে কোন ধরণের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে স্বতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা আছে, এ বিষয়ে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই।

চীন মেংকে আটক করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। শিগগিরই তাকে মুক্তি দেয়ারও দাবি করেছে দেশটি।

ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।