ইসিতে আপিল

img

শেষ দিনেও বৈধতা পেলেন না যারা

প্রকাশিত :  ০৮:৩৯, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৪৯, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮

শেষ দিনেও বৈধতা পেলেন না যারা

জনমত রিপোর্ট ।। একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাদের মনোনয়ন বাতিল করেন তারা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন। বৃহস্পতিবার থেকে ওই সব আপিলের শুনানি চলছে। আজ শনিবার শুনানির তৃতীয় ও শেষ দিন।   

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আজ যারা আপিলেও মনোনয়ন ফিরে পাননি তারা হলেন-

নেত্রকোনা-১ মো. এরশাদুর রহমান, ময়মনসিংহ-৪ কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ, ময়মনসিংহ-৯ আলমগীর কবির, ময়মনসিংহ-৭ এম. এ. রাজ্জাক, নেত্রকোনা- মো. জাকির হোসেন, নেত্রকোনা- ৪ শফি আহমেদ, জামালপুর-৩ মো. মাসুম বিল্লাহ্, ময়মনসিংহ-১১ এস এম আসরাফুল হক, ময়মনসিংহ-৩ মো. সামিউল আলম, কুমিল্লা-৩ আহসানুল আলম কিশোর, কুমিল্লা-১০ মো. রুহুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১১ মাওলানা আবু সাইদ, ফেনী-৩ আনোয়ারুল কবির, নোয়াখালী-৩ আফতাব উদ্দিন, কুমিল্লা-৪ ইরফানুল হক সরকার, নোয়াখালী-৩ মো. আবু বকর সিদ্দিকী, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৩ মো. ওমর ইউসুফ, যশোর-২ মুহাদ্দিস শহিদুল ইসলাম ইনসাফি, ঝিনাইদহ-২ মো. মশিউর রহমান, যশোর-২ এবিএম আহসানুল হক, ঢাকা-৭ মো. মাসুদুর রহমান (খোকন), ঢাকা-৪ মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-১ মো. হারুনার রশিদ, ঢাকা-২ সৈয়দ মঈন উদ্দিন রিপন, ফরিদপুর-১ মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ মো. আব্দুর রহমান, চট্টগ্রাম-১২ এম এয়াকুব আলী, চাঁদপুর-২ মো. খায়রুল হাসান এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৩ জামাল রানা।

এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৩১০ জনের আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন ১৫৮ জন। আর বাতিল হয়েছে ১৪১ জনের প্রার্থিতা। আজ ২৩৩ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের পর নানা কারণে ৭৮৬টি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এদের মধ্যে ৫৪৩ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

img

রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে ‘গোলাগুলি’, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত :  ১৫:৫৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০০, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকা রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে, ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে বাজারের সব দোকানপাট।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউপি সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়থলি ইউপির এক বাসিন্দা জানান, বিকেল থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন এলাকাবাসীরা।

তবে কাদের সঙ্গে এই গোলাগুলি চলছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুমার বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গোলাগুলির কথা শোনার পর বাজারের সব দোকানদার দোকানপাট বন্ধ করে চুপচাপ বসে আছেন। খুবই আতঙ্কে আছেন বলে জানান তিনি।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু ইউপি, রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি-বোমার আওয়াজ এলাকাবাসীরা শুনেছেন। এলাকাবাসীদের ধারনা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি চলছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে। এতে এই পর্যন্ত গ্রেফতার ৬৬ জন কারাগারে এবং এদের মধ্যে ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।