img

খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক : খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এক অনুষ্ঠানে এই নির্দেশনা দেন তিনি।  ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ব্যবসা করতে চায় বা ব্যবসা করছে, দুই পয়সা বেশি কামাই করার জন্য, তারা এই ভেজাল দিতে থাকে, বা পচা-গন্ধযুক্ত খাবার আবার ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে একদিকে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।  আবার ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোরও হতে হবে।

তিনি বলেন, ভেজালকারীদের একদিকে যেমন বোঝাতে হবে, সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, অপরদিকে কঠোর হস্তে এটা দমনও করতে হবে।  দুইদিকে ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবে দরকার।  

এসময় জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাব, ইতোমধ্যে আপনারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোতে গ্রেডিং স্টিকার দিয়ে দিচ্ছেন এবং মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ। এ কাজটা শুধু রাজধানীতে করলে হবে না। এটা সারাদেশে করা দরকার। 

এজন্য অর্থের প্রয়োজন করে অর্থমন্ত্রী ব্যবস্থা করবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসময় অর্থমন্ত্রীকে ক্যামেরায় দেখানোর অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, আমি যা বলে যাচ্ছি অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে রেখেই বলে যাচ্ছি। অর্থমন্ত্রীও আছেন। আমি মনে করি যে, মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবার জন্য যা প্রয়োজন সেটা আমরা করতে পারব। 

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রান্তে এই সময় কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

img

সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠকে যে বার্তা দিলেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত :  ১৯:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:১৫, ১৪ মে ২০২৪

ঢাকায় তিন দিনের সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু  আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে নির্বাচনপরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান মার্কিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক। এরপর সরাসরি দূতাবাসে যান ডোনাল্ড লু। সেখান থেকে দুপুরের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুধী সমাজের প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময় সেখানে অংশ নেন- ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান ও শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তার।

বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলের দুইজন সদস্য জানান, নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতিসহ শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সুধীসমাজের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়েছে।

শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে খুবই সাধারণ আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে শ্রম আইন নিয়ে উনি জানতে চেয়েছেন।

জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে ফিলিস্তিনের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকার ও আদিবাসী ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমি যেহেতু জলবায়ুকর্মী তাই এ বিষয় নিয়েই আমি কথা বলেছি।’

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চেৌধুরীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন ডোনাল্ড লু। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

বৃহস্পতিবার লু ঢাকা ত্যাগ করবেন। সংশি্লষ্টদের ধারণা, নিরাপত্তা ইসু্যকে প্রধান অগ্রাধিকার দিয়ে ওয়াশিংটন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে চাইবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান বিষয়গুলো গণতন্ত্র, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।

লু ঢাকা সফরের প্রথমদিন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদষ্টো সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন। ভারত ও শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ডোনাল্ড লু।

শুক্রবার থেকে লুর ছয়দিনের সফরের তথ্য জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ১০ থেকে ১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটিই গুরুত্ব পাবে।