বন্দি রাজকন্যা লতিফাকে নিয়ে বরিস জনসনের উদ্বেগ

প্রকাশিত :  ০৯:৪৬, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বন্দি রাজকন্যা লতিফাকে নিয়ে বরিস জনসনের উদ্বেগ

জনমত ডেস্ক : দুবাইয়ের রাজকন্যা লতিফার দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লতিফার অভিযোগ, তারা বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম তাকে বন্দি করে রেখেছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে বরিস জনসন বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। আমি মনে করি, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং কীভাবে তারা পরিস্থিতি সামাল দেন তা দেখতে হবে।

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রব রাজকন্যার বন্দির বিষয়ে বলেন, লতিফা জীবিত ও ভালো আছেন—আমি তার প্রমাণ দেখতে চাই। এরপরই এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তবে এ বিষয়ে সরাসরি আমিরাতের কাছে জানতে চাওয়ার পরিকল্পনা নেই ব্রিটেনের।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছে রাজকন্যা লতিফার বন্দি থাকার বিষয়টি জানতে চাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। লতিফার অভিযোগ, তার বাবা তাকে একটি বদ্ধ করে আটক করে রেখেছেন

মঙ্গলবার গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সম্প্রচার করে বিবিসি। এরপরেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে জাতিসংঘকে আহ্বান করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে উত্তাপন করবে। ভিডিও বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের আরবিট্রারি ডিটেনশন বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র এবং উন্নয়ন বিষয়ক কার্যালয়। তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনার কথা জানিয়েছে। এ দিকে দুবাইয়ের রাজকুমারী লতিফা নিজেকে তার বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের ‘জিম্মি’ বলে দাবি করেছেন। মঙ্গলবার বিবিসি এমন একটি ভিডিও প্রচার করেছে। ফুটেজটি গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছে।

এতে ৩৫ বছর বয়সী রাজকন্যাকে বলতে দেখা গেছে, আমি একজন জিম্মি, আমি মুক্ত না। এই কারাগারের মধ্যে আমি বন্দি। আমার জীবন আমার হাতে না। তিনি একটি বদ্ধ বাথরুমের ভেতরে দেয়ালের সঙ্গে বসে কথা বলেন। বিবিসি বলছে, এই গোপন বার্তাটি রাজকুমারী তার বন্ধুদের কাছে পাঠিয়েছেন।

এর আগে ২০১৮ সালেও তিনি দেশ থেকে গোপনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ভারতের মালাবর উপকূল থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন। এরপর বাবার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব নিয়ে বছরজুড়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়ে এসেছেন তিনি।

নতুন ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, আমি বাথরুম থেকে এই ভিডিও ধারণ করেছি। কারণ একটি দরজার সঙ্গে এটিই একমাত্র কক্ষ, যা বন্ধ করে রাখতে পারি। আমার কক্ষের দরজাটি বন্ধ করে রাখতে পারি না। কারণ তার চাবি নেই।

‘আমি একটি ভিলায় আছি। আমি একজন জিম্মি। ভিলাটি কারাগারে রূপান্তরিত করে রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, জানলাগুলো বন্ধ করে রাখা। আমি তা খুলতে পারি না। বাইরে পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং বাড়ির মধ্যে আরও দুই নারী পুলিশ আছে।

নির্মল বাতাসের জন্য বাইরে যাওয়ারও সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমি জানি না, কখন আমি মুক্তি পাব বা কখন আমার মুক্তি পাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। কাজেই আমার জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে রোজ আমি শঙ্কার ভেতরে থাকি।

ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে ১৩০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেনের মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) এবং হাউস অব লর্ডসের মন্ত্রীরা। গাজায় ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরনকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা। 

বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। 

এই চিঠিতে সমর্থন করেছেন ১৩০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট মেম্বার। চিঠিটিতে ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

লেবার এমপি জারাহ সুলতানার নেতৃত্বে চিঠিতে ১০৭ এমপি এবং ২৭ জন সহকর্মী স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে সাবেক শ্রম মধ্যপ্রাচ্য মন্ত্রী পিটার হেইন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ওয়েস্টমিনস্টার নেতা স্টিফেন ফ্লিন এবং সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন রয়েছেন। 

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও আছেন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ নোশিনা মোবারিক, পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থায়ী সচিব জন কের এবং লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী টেসা ব্ল্যাকস্টোন। চিঠিটি ৪৬ জন লেবার এমপি এবং প্রায় সব এসএনপি সংসদীয় দলের সমর্থন পেয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র রপ্তানির \'স্বাভাবিক ব্যবসা\' \'সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য\'। 

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে পাওয়া যুক্তরাজ্যের নির্মিত অস্ত্র গাজায় ব্যবহার করা হচ্ছে— এ বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে অন্যান্য দেশের নেওয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেছেন এমপিরা। গত সপ্তাহে কানাডা ইসরাইলে সমস্ত অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।