img

কানে হেডফোন গুঁজে ঘুমাবেন না

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮

কানে হেডফোন গুঁজে ঘুমাবেন না

জনমত ডেস্ক ।। অনেকে দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, কিন্তু এ অবস্থায় ঘুমানোটা মোটেই স্বাস্থ্যকর বিষয় নয়।
\r\n
\r\nপছন্দের গান শুনতে শুনতে অনেকেই ঘুমিয়ে যায়। সেই গান শোনার জন্য যদি হেডফোন ব্যবহার করা হয়, তবে ঘটতে পারে নানান ঝামেলা।
\r\n
\r\nস্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে কানে হেডফোন গুঁজে ঘুমানোর \r\nকুফল সম্পর্কে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো। আমাদের শরীর নিজস্ব একটি \r\n‘সার্কাডিয়ান’ চক্র মেনে চলে। এই চক্রের মাঝে বাহ্যিক শব্দ যোগ করার \r\nমাধ্যমে আমরা শরীরকে নতুন কিছুর উপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য করছি।
\r\n
\r\nতাই দীর্ঘমেয়াদের ঘুমের জন্য সংগীতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া ক্ষতিকর হতে পারে। আবার এই সংগীতের কারণে ঘুমের মানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
\r\n
\r\nঘুমের মান নষ্ট হওয়ার একটি বড় কারণ হল আমরা মোবাইল ফোন সারাক্ষণ ব্যবহার \r\nকরতে থাকি, গান শোনা কিংবা অন্য যে কোনো কাজে। ফলে এই যন্ত্র সবসময় আমাদের\r\n হাতে থাকে, এমনকি বিশ্রামের সময়ও। ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় সচল থাকে, \r\nপায় না পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
\r\n
\r\n
\r\nগান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লে মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রাম পায় না। মস্তিষ্কের\r\n যে অংশটুকু সাড়া দেওয়া ও শব্দ গ্রহণ করার জন্য কাজ করে তা অচেতন হয় তবে \r\nপুরোপুরি বন্ধ হয়না। ফলে রাতে ঘুম ভেঙে যায় কিংবা ঘুমের মধ্যে নিজেও হয়ত \r\nগুনগুন করে গান গাইতে থাকেন।
\r\n
\r\nএকটানা ৮ ঘণ্টা নির্ভেজাল ঘুমের পরিবর্তে এক বা একাধিকবার ঘুম ভেঙে যাওয়া হৃদস্পন্দনের গতি বাড়ায় যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
\r\n
\r\nআরেকটি সম্ভাব্য সমস্যা হল- পরদিন সকালে অনবরত কানে ভোঁ ভোঁ বাজতে পারে; যা\r\n স্বাভাবিক হতে দীর্ঘসময় নেয়। সমস্যাটা তেমন গুরুতর মনে না হলেও আসলে এটা \r\nহল কানে হেডফোন গুঁজে ঘুমানোর কারণে কানের পর্দায় ব্যথা হওয়ার \r\nপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
\r\n
\r\nবেশি আওয়াজে গান শোনাও কানের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতির মাত্রা হয়ত নগন্য, তবে অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
\r\n
\r\nআবার হেডফোনের ইয়ারবাড কানে ঠিকমতো নাও বসতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে \r\nকানের আশপাশের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। সেই সঙ্গে কানের ভেতরে ময়লা বাড়তে \r\nপারে, যা একাধারে অস্বাস্থ্যকর এবং শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।