img

মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর এবার ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ০৭:১৯, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর এবার ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা

জনমত ডেস্ক : সেনা অভ্যুত্থানে যুক্ত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। নতুন এই পদক্ষেপের আওতায় সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ছাড়াও রয়েছেন সেনা সরকার গঠিত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের আরও পাঁচ সদস্য। এছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো আর ব্যবসা করবে না বলেও জানানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে প্রতিবাদ-সমাবেশ-বিক্ষোভ চলছে। ওই দিনই অং সান সুচি\'র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। গত তিন সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ধর্মঘট চলছে। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বৃহস্পতিবারও ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের সবাই সমবেত হওয়ার আগেই প্রায় সেনাবাহিনীর প্রায় এক হাজার সমর্থক সমাবেশ শুরু করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি গুরুতর রূপ ধারণ করে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

মিয়ানমারে বিক্ষোভের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়াও দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আবারও পর্যালোচনা করে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের প্যাকেজ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের সেনা শাসকদের পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছে যে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী তাদের জবাবদিহি করতে হবে আর মিয়ানমারের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে সরকারি দায়িত্ব অবশ্যই হস্তান্তর করতে হবে।’

যুক্তরাজ্যের নতুন এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর আওতায় পড়া ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্য সফরের অনুমতি পাবেন না আর দেশটিতে থাকা তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যও করতে পারবেন না তারা।

এর আগে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

img

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে যে পরামর্শ দিল ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ইসরায়েলে ইরানের হামলার ইস্যু নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তেল আবিবকে পাল্টা হামলা না চালাতে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যদিও প্রতিশোধ নিতে বায়না ধরে আছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় বন্ধু হিসেবে তেল আবিবকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

আজ বুধবার ইসরাইল সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন। তিনি নেতানিয়াহুকে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া সীমিত করার আহবান জানান।

জেরুজালেমে পৌঁছার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন খুবই উদ্বেগজনক, তাই উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

জেরুজালেম পৌঁছার পর সাংবাদিকদের ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, ইরানের ভয়াবহ হামলার সংহতি জানাতেই আমি এখানে এসেছি। পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে সেই সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি এমন একটি উপায় বের করতে পারব, যাতে উত্তেজনা কমানো যায়। এক্ষেত্রে আমাদের আরও স্মার্ট হতে হবে। 

ক্যামেরন বলেন, আমার মনে হয় ইরান ইস্যু বাদ দিয়ে হামাসের দিকে ফিরে আসা উচিত, জিম্মিদের দিকে ফিরে আসা উচিত, তাদের কিভাবে মুক্ত করা যায়, তাদের কিভাবে সাহায্য করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত এবং গাজার সংঘাত কিভাবে সমাধান করা যায় সেই চিন্তা করা উচিত। 

ডেভিড ক্যামেরন ইসরাইল সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করার আগে, প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজের সাথে দেখা করেন।