img

আনাস সারওয়ার : স্কটিশ লেবার পার্টির প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ও মুসলিম নেতা

প্রকাশিত :  ০৮:৫৬, ০৪ মার্চ ২০২১

আনাস সারওয়ার : স্কটিশ লেবার পার্টির প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ও মুসলিম নেতা

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় রদবদল। আর তাতেই গুরু দায়িত্ব পেলেন আনাস সারওয়ার। স্কটিশ লেবার পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এশীয় বংশোদ্ভূত এবং মুসলমান প্রতিনিধি হিসেবে আনসই প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটেনের কোনো বড় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন। আগামী ৬ মে স্কটল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন।

দলীয় ভোটাভুটিতে আনাস ভোট পেয়েছেন ৫৭.৬ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মণিকা লেনন পেয়েছেন ৪২.৪ শতাংশ ভোট। দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর আনাস বলেন, ‘দেশবাসীর উদ্দেশে আমি সরাসরি বলতে চাই জনগণের বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য লেবার পার্টির অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আমরা যদি আগাগোড়া সৎ হই, তাহলে বুকে হাত রেখে বলতে পারি স্কটিশ লেবার পার্টির জন্য যা যা করণীয় তা হয়নি। দেশজুড়ে যেভাবে বৈষম্য, অবিচার এবং বিভাজন বাড়ছে, সেজন্য আমরাই দায়ী। আর তা দূর করতে দিন-রাত এক করে কাজ করব। আমাদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলব।’

কিন্তু, ব্রিটেনের প্রথম সারির দলের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ নেতা নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কী বলবেন? জবাবে আনাস বলেন, স্কটল্যান্ড ও দেশের জনতা কতটা মহান এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ। আনস নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডের বিচারপতি তথা স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হামজা ইউসুফ। করোনা মহামারীর জেরে এবারের দলীয় নেতা নির্বাচন জৌলুস হারালেও দেশবাসীর আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কটিশদের স্বাধীনতার দাবি দীর্ঘদিনের। যদিও এই স্বাধীনতার অর্থ দেশভাগ। তাই স্বাধীনতাপন্থীদের সেই দাবি সরিয়ে রেখে করোনা মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দেয়ার আর্জি জানিয়েছেন আনস।

পাকিস্তানি মা-বাবা সন্তান হলেও গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করেন আনাস। ২০০৫ সালে দন্ত চিকিৎসার সাধারণ ডিগ্রি নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত পাইসলেতে এনএইএস কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কটিশ লেবার দলের সদস্যপদ গ্রহণ করার পর ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত গ্লাসগো সেন্ট্রালের এমপি ছিলেন আনাস।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।