img

লঞ্চের কেবিনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত :  ০৬:০৪, ০৯ মার্চ ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৬, ০৯ মার্চ ২০২১

লঞ্চের কেবিনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা আটক

জনমত ডেস্ক : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের আশ্বাসে লঞ্চের কেবিনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আবুল কাশেম গাজী নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

নির্যাতনের শিকার একই ইউনিয়নের পশ্চিম জয়শ্রী গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী (২৪) বাদী হয়ে সোমবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এর পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আবুল কাশেম গাজীকে আটক করা হয়েছে।

আটক যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম গাজী (৩০) পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের যুবলীগ সদস্য। তিনি কামালপুর গ্রামের আলী আক্কাছ গাজীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী জানান, গত এক মাস আগে যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম গাজীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তার।

রোববার সকালে স্থানীয় পাটওয়ারী বাজারে বাজার করতে আসেন তিনি। এ সময় পাটওয়ারী বাজারের দক্ষিণ পাশে রাস্তার ওপর অভিযুক্ত আবুল কাশেম গাজী ওই গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে কৌশলে অটোরিকশায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নিয়ে যায়।

এর পর লঞ্চের কেবিনে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আবুল কাশেম গাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছি।


img

আলোচিত 'সানভীস বাই তনি'র ভয়ংকর প্রতারণা, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৫, ১৪ মে ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’র নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং  প্রতারণার অভিযোগে।

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করা হয়েছে।

সোমবার গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

রোবাইয়াত ফাতেমা তনির রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে । অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে।

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর জানায়, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এ দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে, সেসব তথ্য দেবে।