img

হত্যা মামলা: কাদের মির্জার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-পুলিশ

প্রকাশিত :  ১৮:১১, ১১ মার্চ ২০২১

হত্যা মামলা: কাদের মির্জার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-পুলিশ

জনমত ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর ভবনের চারদিক ঘিরে রেখেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য। ভেতরে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই আব্দুল কাদের মির্জা তার অনুসারীদের নিয়ে অবস্থান করছেন।

সংঘর্ষে নিহত আলাউদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিককে আসামি করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বসুরহাট পৌর ভবনের চারদিক ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও রেখেছেন কড়া নজরদারি। এই নজরদারির ভেতরই পৌর ভবনের একটি কক্ষে নিজের অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে আব্দুল কাদের মির্জা অবস্থান করছেন।

সন্ধ্যার দিকে কাদের মির্জার স্ত্রী আক্তার জাহান বকুল স্বামীর ব্যবহারিক কিছু জামা-কাপড়সহ একটি ব্যাগ নিয়ে সেখানে যান। সন্ধ্যার পর একজন আইনজীবীও মির্জা কাদেরের সঙ্গে দেখা করে পৌর ভবন থেকে বের হন। এ নিয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক জেঁকে বসেছে।

এ অবস্থায় মির্জা কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে র‌্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

এছাড়া জিরো পয়েন্টে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু চত্বর, রূপালী চত্বর, উপজেলা হাসপাতাল গেট, কলেজ গেট ও উত্তর বাজার এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।

নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত আলাউদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিকসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০/৪০ জন এই মামলার আসামি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে সকল আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পিস্তল, শটগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড, ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫০/৬০টি ককটেল ফুটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। ৪ নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল আলাউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।


img

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি

প্রকাশিত :  ১১:১৩, ০৪ মে ২০২৪

বহুল আ‌লো‌চিত সন্দেহভাজন অপরাধী, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্রের চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিতু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ শনিবার (৪ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রয়কেন্দ্রের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রবিবার ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’

নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার ‘সাইকোতে পরিণত হয়েছেন’ মন্তব্য করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কীভাবে আসে, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এবং কেনইবা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন; সবকিছুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন তাদেরও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘মিল্টনের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে।’

এর আগে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।