img

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম শিথিল করছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১৯:৫০, ১৪ মার্চ ২০২১

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম শিথিল করছে ব্রিটেন

জনমত ডেস্ক : বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম শিথিল করছে যুক্তরাজ্য। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দেশটিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্স শেষ করার পর কমপক্ষে দুই বছর স্বাধীনভাবে কাজ ও প‌রিবারসহ বসবাসের সুযোগ পাবেন।

 আগামী জুলাই থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। যুক্তরাজ্যে যারা পিএইচডি বা ডক্টরাল সমমানের কোর্স ক‌রবেন তাদের ক্ষেত্রে এ ভিসার মেয়াদ হবে তিন বছর। আর গ্রাজুয়েশন শেষ করলে মিলবে দুই বছরের ভিসা। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশনের নতুন এ নিয়ম ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশিসহ দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনযোগ‌্য হবে।

যুক্তরাজ্যে এল‌পি‌সি ও শিক্ষকতায় ‌পি‌জি‌সিই-র মতো পেশাদার কোর্স সম্পন্নকারীরাও এ সুযোগ পাবেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা চালু ছিল।

মূলত করোনা ও ব্রেক্সিটের পর শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতেই এ সুযোগের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন। ব্রেক্সিটের পর ফি বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনে ইউরোপ থেকে শিক্ষার্থী আসা কমবে। সে কারণে বাংলাদেশ ভারতসহ বাইরের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতেই এ উদ্যোগ।

ব্রিটেনে নিয়মিত কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে এ সু‌বিধা কাজে দেবে। অন‌্যদিকে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে স্বামী ব‌া স্ত্রীকে নিয়ে ব্রিটেনে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ দম্পতিদের উৎসা‌হিত করবে। নতুন নী‌তিমালায় এ ভিসায় থাকাকালীন সময়ের জন‌্য কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে কোনও রকম স্পন্সর দেখাতে হবে না। নিয়োগদাতার স্পন্সর লাইসেন্সের শর্তও তাই প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ, কোর্স শেষে তারা যে কোনও জায়গায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।

কোর্স চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীর স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তান ব্রিটেনে থাকলে তারাও দুই বা তিন বছরের করে ভিসা পাবেন। স্পাউজ এক্ষেত্রে ফুলটাইম কাজের অনুম‌তি পাবেন। তবে এ ভিসার মাধ‌্যমে কোনও শিক্ষার্থী নিজের দেশসহ ব্রিটেনের বাইরে থেকে কোনও স্পাউজ ব্রিটেনে আনতে পারবেন না। ডিসটেন্স লা‌র্নিং‌-এর ক্ষেত্রেও করোনাকালীন সময়ের শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে এ সু‌বিধা পাবেন।


img

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন: ৬৫ শতাংশ হতে যাচ্ছে লিখিত, ৩৫ শতাংশ শ্রেণিভিত্তিক

প্রকাশিত :  ১৮:৪৬, ১৩ মে ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ লিখিত ও ৩৫ শতাংশ শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়ন হবে। এমন পরিকল্পনা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের। মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, তা থেকে কিছুটা পরিবর্তন এনে লিখিত অংশের ওয়েটেজ বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নিয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি যে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছিল, তাতে কার্যক্রমভিত্তিক অর্থাৎ হাতে-কলমে মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ করতে বলেছিল। কার্যক্রম বলতে বোঝানো হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট করা, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি। আরও সহজ করে বললে হাতে-কলমে কাজ।

আজকের বৈঠকে  প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ এসএসসি পরীক্ষায় লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ হবে ৩৫ শতাংশ। প্রথম বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ বাড়ানো হবে। লিখিত অংশের প্রশ্নপত্র হবে কার্যক্রমের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে অর্থাৎ প্রশ্ন হবে দুই অংশের মধ্যে আন্তসম্পর্ক বজায় রেখে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন এনসিটিবি দ্রুত আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করলে এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পূর্বনির্ধারিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় তোলা হবে।

জানা গেছে, ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লিখিত ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন মিলিয়ে সময়টি পাঁচ ঘণ্টাই রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, সেটির নাম এখনকার মতো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাই রাখা হচ্ছে। এ পরীক্ষা হবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে।

এনসিটিবির উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আরেকটু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। 

দেশে গত বছর নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রাথমিকে প্রথম থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন করছে। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।

কিছুদিন ধরেই নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কেমন হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে নবম শ্রেণির সামষ্টিক বা বার্ষিক মূল্যায়নটি পাবলিক পরীক্ষার আদলে নেওয়ার। তবে অন্যান্য শ্রেণির মূল্যায়ন এখনকার মতোই চলতে থাকবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন যে, মূল্যায়নটি দ্রুত চূড়ান্ত করা উচিত। কারণ, বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ে, তারা নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষা দেবে। নবম শ্রেণিতে তাদের অধ্যয়নকাল পাঁচ মাস চলছে। কিন্তু তাদের এসএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন কেমন করে হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অবশ্য নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে।

শিক্ষা এর আরও খবর