img

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল যবিপ্রবি শিক্ষার্থীর, উপাচার্যের শোক

প্রকাশিত :  ০৭:৫৩, ২২ মার্চ ২০২১

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল যবিপ্রবি শিক্ষার্থীর, উপাচার্যের শোক

জনমত ডেস্ক : দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় মো. রুবেল নামে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার (২১ মার্চ) রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার জিরানি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রুবেল যবিপ্রবির ২০১৮-১৯ সেশনের ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

নিহত রুবেলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার জিরানি বাজার এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকায়।

রুবেলের অকাল মৃত্যুতে যবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ দিকে, রুবেলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের প্রথম ব্যাচের একটি কোর্স নেওয়ার সুবাদে আমি তার সরাসরি শিক্ষক ছিলাম। শ্রেণিকক্ষে ছেলেটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিল। গত কয়েক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় যবিপ্রবির বেশ কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল প্রয়াণ হয়েছে অথবা মারাত্মক আহত হয়ে তারা চিকিৎসাধীন। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো যাবে না।

শোক বার্তায় তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আমার কাছে সন্তানসম। সড়ক দুর্ঘটনায় বলি হয়ে আমার সন্তানের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। আমি রুবেলের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন, দীর্ঘদিনের শিক্ষক-সহপাঠীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

এ দিকে, রুবেলের অকাল প্রয়াণে যবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও তার অকাল প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।

img

চবির পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর

প্রকাশিত :  ১৩:৩০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছরে চবিতে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারবার। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ বছরের বেশি সময় আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। 

দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করে চলেছে। সেখানে চবিতে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে। এদিকে ৯ বছর পর আগামী ডিসেম্বরে চবির ৫ম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।  

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন ও তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৪ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ৭ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন ছিল এটি। এর আগে তৃতীয়বারের মতো সমাবর্তন হয় ২০০৮ সালে। এছাড়া প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৪ সালে এবং দ্বিতীয় বার ১৯৯৯ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা এর আরও খবর