img

বিলেতে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: নয় মাসের যুদ্ধ, নয় মাসের উৎসব

প্রকাশিত :  ১৬:৪৩, ২৬ মার্চ ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৪, ০১ এপ্রিল ২০২১

বিলেতে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: নয় মাসের যুদ্ধ, নয় মাসের উৎসব
আলতাব আলী পার্কে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান। পতাকা ধরে আছেন হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসন??

জনমত ডেস্কঃ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় এই বাসভূমিতে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নয় মাস ব্যাপী এক বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। খবর বিবিসি বাংলা 

সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুবরাজ চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশেষ বাণীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মি. জনসন ব্রিটেনের আর্থ-সামাজিক খাতে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, "ছয় লক্ষ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী দু'দেশের মধ্যে বন্ধনকে জিইয়ে রেখেছে।" 

প্রধানমন্ত্রী জনসনের ভিডিও বার্তা (ইংরেজি):


করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগ এনএইচএস-এ কর্মরত নার্স এবং ডাক্তারদের তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো সংসদীয় এলাকার নির্বাচিত এমপি রুশনারা আলীও টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছেন "তাদের কাছে আমরা বিপুলভাবে ঋণী।"

Today marks the 50th anniversary of Bangladesh’s independence. As a British Bangladeshi, I am extremely proud to mark this special anniversary, and pay tribute to all those who sacrificed their lives for an independent nation. pic.twitter.com/4hzFwD7G4t

— Rushanara Ali ???? (@rushanaraali) March 26, 2021 " target="_blank">


"বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যেসব ব্রিটিশ বাংলাদেশী লড়াই করেছেন, আমাদের পূর্ব প্রজন্মসহ, আমরা তাদের নিয়ে খুবই গর্ব অনুভব করি," বলে মন্তব্য করেন রুশনারা আলী।

সূবর্ণ জয়ন্তীর সকালে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন টাওয়ার হ্যামলেটস-এর নির্বাহী মেয়র জন বিগস্ এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। টাওয়ার হ্যামলেটস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি বিরল সম্মান, যেখানে একজন নির্বাহী মেয়র কোন বিদেশি রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করছেন।


শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে একদল যুবক বিপুল উৎসাহে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র ব্রিক লেন। ছবি: স্বাধীনতা ট্রাস্ট ইউকে


২৬৫ দিনের উৎসব

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করতে টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে, সেটি চলবে ২৬৫ দিন ধরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসের সংগ্রামকে সম্মান জানাতে এই সময়সীমাকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

এতে নানা ধরনের অনলাইন ইভেন্টের পাশাপাশি থাকছে ছবি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা। এরই অংশ হিসেবে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় তৈরি করা হবে একটি বিশাল ভাস্কর্য।


১ আগস্ট ১৯৭১, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসমাবেশের ছবি নিয়ে সাপ্তাহিক জনমত এর ৮ আগস্ট সংখ্যার প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠা। ছবি: জনমত আর্কাইভস 


বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে সাপ্তাহিক জনমত। তাই, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করার মধ্য দিয়ে জনমত আবারো ইতিহাসের অংশ হচ্ছে। বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সহযোগিতায় অনলাইন এক্সিবিশন করছে জনমত।


এছাড়া ব্রিটিশ বাংলাদেশী পাওয়ার এন্ড ইন্সপারেশন এর বছর ব্যপি কর্মসূচিতেও থাকবে জনমত এর ঐতিহাসিক সংগ্রহশালার উপাস্থপন। করোনা মহামারী পরিস্থিতিজনিত কারণে সামাজিক মেলামেশার বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর জনমত এর ঐতিহাসিক সংখ্যা ও ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।


বাংলাদেশের রঙে রেঙেছে লন্ডন আই। ছবি: www.bbpower-inspiration.com

ব্রিটেনের ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারির সহায়তায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মিলে বাঙালী শিল্পী রুহুল আবদিন এটি তৈরি করবেন।

সূবর্ণ জয়ন্তীর সন্ধ্যায় লন্ডনের একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান 'লন্ডন আই'কে বাংলাদেশের পতাকার রঙের আলো দিয়ে সাজানো হয়। সেন্ট্রাল লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েস্ট মিন্সটার এবেতে ২৬ মার্চ উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের পতাকা।


লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনটিও সাজানো হয় আলোকমালায়।

এছাড়াও পুরো ব্রিটেন জুড়ে বাংলাদেশীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

img

বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ লাশ

প্রকাশিত :  ০৭:৩০, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুলগেরিয়ায় একটি পরিত্যক্ত একটি ট্রাকের ভেতরে ১৮টি লাশ পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। বুলগেরিয়ার পুলিশ এর সাথে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ট্রাকটি করে অবৈধ অভিবাসীদের পাচার করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুলগেরিয়ার ইতিহাসে এটি অভিবাসীবিষয়ক সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা।

বুলগেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রাক থেকে উদ্ধার করে পাঁচ শিশুসহ ৩৪ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের কারো কারো অবস্থা খুবই খারাপ।

তিনি বলেন, ট্রাকের ভেতরটা ছিল খুবই ঠান্ডা। আর বেঁচে যাওয়ার জানিয়েছেন, তারা কয়েক দিন ধরে কোনো খাবার পাননি।

তুরস্ক থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশে পাড়ি দিতে দীর্ঘ দিন ধরেই অবৈধ অভিবাসীরা বুলগেরিয়া অতিক্রম করে।

ট্রাকটি বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া থেকে ১২ মাইল উত্তর-পূর্ব দিকে লোকোরস্কো গ্রামের কাছে পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসেন মেদঝিদিয়েভ বলেন, ট্রাকে অক্সিজেনের অভাব ছিল। বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় তারা বের হতে পারেনি।

পুলিশ ধারণা করছে, ট্রাকে থাকা অনেকে আফগানিস্তান থেকে এসেছে। তাদেরকে অবৈধভাবে সার্বিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সূত্র : বিবিসি