শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ নেতাকে জলবায়ু সম্মেলনে বাইডেনের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ২৭ মার্চ ২০২১

শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ নেতাকে জলবায়ু সম্মেলনে বাইডেনের আমন্ত্রণ

আন্তর্জাতিক ডেস্কবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ৪০ নেতাকে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

শেখ হাসিনা ছাড়া দক্ষিণ এশীয় নেতাদের মধ্যে সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলআজিজ আল সৌদ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতো ক্ষমতাধর নেতারাও রয়েছেন সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায়।

দুই দিনব্যাপী এ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল। বিশ্ববাসীর দেখার জন্য সম্মেলনটি টেলিভিশনেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

সম্মেলন প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস বলেছে, এটি আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (সিওপি২৬) যাওয়ার পথে একটি প্রধান মাইলফলক হবে।

বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, এপ্রিলে বিশ্বনেতাদের সম্মেলন এবং সিওপি২৬ উভয়ের মূল লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রচেষ্টা জোরদার করা।

বর্ধিত জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা কীভাবে ভালো বেতনের চাকরি তৈরি করবে, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির উন্নতি ঘটাবে এবং দুর্বল দেশগুলোকে জলবায়ুর প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে তার উদাহরণও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

আমন্ত্রিত নেতাদের দেশগুলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কীভাবে অবদান রাখতে পারে, তার রূপরেখা দেয়ার সুযোগ হিসেবে সম্মেলনটিকে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।

বৈশ্বিক জলবায়ু ক্ষেত্রে শক্ত নেতৃত্বদানকারী, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা আরও কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

সম্মেলনে ব্যবসায়িক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে হো্য়াইট হাউস। সূত্র: এনডিটিভি

ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।