img

সেলফিই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ!

প্রকাশিত :  ১০:০৭, ৩১ মার্চ ২০২১

সেলফিই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ!

জনমত ডেস্ক: স্টোরি, প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো... ছবির কি আর শেষ আছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাদিন অ্যাক্টিভ থাকতে হলে ছবি তো লাগবেই। আর তাই সকলেই মজেন সেলফিতে। ঘুম থেকে উঠে সেলফি, মর্নিং ওয়াকে গিয়ে সেলফি, খেতে বসে সেলফি, ঘুরতে গিয়ে সেলফি। তবে জানেন কি এই সেলফি দেখেই জানা যায় আপনার ব্যক্তিত্ব। 

সম্প্রতি গবেষণায় এমনটাই দেখা গিয়েছে। কারণ অনেকেই আছেন যারা বেশ বেছে বেছে ছবি আপলোড করেন। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা শুধুমাত্র নিজের ঢাক পেটাতে যা খুশি তাই আপলোড করে দেন। এমনকী হাঁচি হলে সেই ছবিও আপলোড করেন। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা নিজেদের লাইক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য একটি ছবিতে একাধিক ব্যক্তিকে ট্যাগ করে দেন। 

হাসি, কান্না, বেদনা সবেরই এক্সপ্রেশন দিয়ে সেলফি তুলে আপলোড করছেন। এবার দেখে নিন, কীভাবে ছবি দিয়েই জানবেন নিজের ব্যক্তিত্ব।


হাসি মুখে সেলফি

মুখ বাঁকিয়ে হাসিমুখে সেলফি শোভা পাচ্ছে আপনার প্রোফাইলে? সবসময় চুল ঘেঁটে সেলফি তুলতে ভালোবাসেন? তাহলে আপনি নিজেকে একটু বেশিই ভালোবাসেন। নিজের ভালো দিক ছাড়া খারাপ দিক কোনও মতেই প্রকাশ্যে আনতে চান না। মুখ লুকনো মুখ দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজেকে একটু অন্তরালেই থাকতে ভালোবাসেন। সবার কাছে নিজের আসল রূপ একটু রহস্যময়তার মোড়কেই রাখতে চান।

ডিকোড সেলফি

বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলে সেলফি তোলেন, সেই সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না করা অবধি শান্তি হয় না? তাহলে হলফ করে বলা যায় সেলফি তোলা আপনার অভ্যেস আর সবসময় নিজেকে পরিপাটি দেখাতে আপনি পছন্দ করেন।

পাউট সেলফি 

মুখ না বাঁকিয়ে সেলফি তুলতে পারেন না? সবসময় পাউট করে সেলফি তোলেন? রিসার্চ বলছে পাউট করে যারা সেলফি তোলেন তারা আদতে ন্যাকা। এছাড়াও তাদের মধ্যে ইমোশন ঠিক করে কাজ করে না। ঘাড় ও মুখ বেঁকিয়ে সেলফি তোলার জন্য আপনার স্নায়বিক সমস্যাও হতে পারে। এছাড়াও যারা পাউট করে সেলফি তোলেন তারা খুব অস্থির মনের মানুষ।

জিভ ভেঙানো সেলফি

সেলফি তুলতে গেলেই আপনি জিভ কাটেন? সেই সঙ্গে হাতের আঙুল থাকে ইয়ো ইয়ো কায়দায়? গবেষণা অনুযায়ী আপনি এই ভাবে সেলফি তুললে আপনাকে মজাদার মানুষের তকমা দেওয়া যায়। আপনি সবসময়ই মজা করতে ভালোবাসেন। সেই সঙ্গে অবশ্যই কিছুটা বোকাও। এমনকী ক্যামেরার সামনে আপনি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ নন। সেই ভাব যাতে ক্যামেরায় ধরা না পড়ে তা ঢাকতেই এমনভাবে ছবি তোলা।

ওয়ার্ক আউট সেলফি

প্রতিদিন শরীরচর্চা আপনার অভ্যেস, আর তাই ওয়ার্ক আউট শেষ হলে সেলফি তোলেন? এর অর্থ কিন্তু আপনি নিজের প্রতি যথেষ্ঠ যত্নবান। নিজের শরীর, স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিত্বের উপর কড়া নজর রাখেন। কীভাবে উন্নতি করা যায় সেই চেষ্টাই করেন। আর এর সঙ্গে অবশ্যই আপনি নিজের কাজকে ভালোবাসেন। নিজ লক্ষ্যে আপনি সর্বদাই স্থির। জীবনের বাস্তববোধ আপনার মধ্যে অনেকটাই বেশি।

বেডরুম সেলফি

ঘুম থেকে উঠে আধশোওয়া অবস্থায় বিছানাতেই সেলফি তোলেন? কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোলবালিশ জড়িয়ে সেলফি পোস্ট করে নিজেকে \'কিউট\' প্রমাণিত করতে চান? এর অর্থ হল আপনার জীবন ওপেন সিক্রেট। নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে মাথা ঘামান না। জীবনের যাবতীয় সিক্রেট পরিচিতদের গড়গড়িয়ে বলে দেন। সেই সঙ্গে জীবনে আপনি কী করবেন, কোনটা ভুল তাই নিয়ে যদি তৃতীয় কোনও ব্যক্তি মাথা গলান তাহলেও আপনার কোনও আপত্তি নেই।




 



img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।