img

সন্তানের টিভি আসক্তি কমাতে করণীয়

প্রকাশিত :  ০৯:৩৫, ০১ এপ্রিল ২০২১

সন্তানের টিভি আসক্তি কমাতে করণীয়

জনমত ডেস্ক : বর্তমানে ছোটদের টিভি আসক্তি দ্রুত হারে বাড়ছে। এতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে আসক্তি দূরীকরণে আপনাকে কিছুৃ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে- 

টিভি দেখার নেশা আপনার থাকলে সেটা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ফেলুন। শিশুর সামনে দৃষ্টান্ত তৈরি করুন। সে-ও যেন বোঝে যে, কোনো প্রিয় অনুষ্ঠান দেখা সহজেই ছেড়ে দেয়া সম্ভব। সন্তানকে টিভি দেখতে দিন কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বেশি নয়। নিজেই বেছে দিন এমন কিছু শিক্ষণীয় অনুষ্ঠান, যা আপনি সন্তানের সঙ্গে বসে দেখতে পারেন।

সন্তানকে বাইরে বের হওয়ার ও খেলাধুলা করার সুযোগ দিন। আসক্ত হওয়ার মতো অবসর যেন তার না থাকে। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বই উপহার দিন ও পড়তে উৎসাহিত করুন। নিজেও পড়ার সময় বের করুন। প্রয়োজনে একই বই একসঙ্গে বসে পড়ুন।

সন্তানের জন্যে বরাদ্দ সময়ে অন্য কোনো কাজ করবেন না। ওর সঙ্গে খেলুন বা ওকে নিয়ে ধারেকাছে (পার্কে/ জাদুঘরে/ মনোরম স্থানে) কোথাও বেড়াতে যান। সন্তানকে প্রযুক্তি আসক্তি থেকে মুক্ত করতে বকাঝকা নয়, উদ্বুদ্ধ করুন। আপনিই হোন তার প্রথম ও সবচেয়ে ভালো বন্ধু।

নিজ নিজ ধর্মবিশ্বাস অনুসারে সন্তানকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিন। নিজেও অনুশীলন করুন। সন্তানদের প্রযুক্তি বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে নিজেও প্রযুক্তির ভালো-মন্দ সম্পর্কে ধারণা রাখুন। সন্তানের রোল মডেল হতে নিজেও ভার্চুয়াল আসক্তি থেকে দূরে থাকুন। শিশুর নাগালে স্মার্ট টিভির রিমোট কন্ট্রোল রাখবেন না।

সন্তানকে সৃজনশীল ও সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করুন। পছন্দের সৃজনশীল বিষয় শেখাতে ভর্তি করুন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে। বয়স অনুযায়ী সন্তানকে ঘরের কাজে সম্পৃক্ত করুন। ভাইবোনের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে শেখান। তাহলে সে আত্মকেন্দ্রিকতা মুক্ত হবে।

সন্তানকে ভার্চুয়াল গেম খেলতে না দিয়ে ঘাম ঝরানোর মতো খেলা মাঠে গিয়ে দলবদ্ধভাবে খেলতে উৎসাহিত করুন। এতে তার একাকিত্ব কাটবে, অবসন্নতা কমবে, সহনশীলতা এবং সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে। বাসায় স্মার্টফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কমান। ১৮ বছরের আগে সন্তানের হাতে একান্ত যোগাযোগের প্রয়োজনে সাধারণ মোবাইল ফোন দিতে পারেন।


img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।