ব্রিটেনের নর্থাম্পটন টাউন কাউন্সিলের মেয়র হয়ে ইতিহাস রচনা করলেন সিলেটের রুফিয়া আশরাফ
এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম:
ব্রিটেনের মুলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের সাফল্য গাঁথায় আরেকটি ইতিহাস রচিত হয়েছে পয়লা এপ্রিল। এদিন নর্থাম্পটন টাউন কাউন্সিলের নতুন মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কাউন্সিলর রুফিয়া আশরাফ।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বিলেতে বাঙালী কমিউনিটির সাফল্যে নতুন পালক যুক্ত করলেন । তিনি বৃহস্প্রতিবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করেছেন সিলেটের মেয়ে রুফিয়া আশরাফ।
রুফিয়া আশরাফ দুই বার সেইন্ট জেমস ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলার নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথম বারের মতো কাউন্সিলার বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই নর্থাম্পটন বরাহ কাউন্সিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন রুফিয়া আশরাফ।
নর্থাম্পটনের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী মেয়র হয়েছেন। কেমন লাগছে? এ প্রশ্নের জবাবে রুফিয়া আশরাফ বললেন, নর্থাম্পটনের ৭ শ\' বছরের ইতিহাসে আমিই প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মেয়র হবো - ইটা কল্পনাও করিনি। এই পদে অভিষিক্ত হতে পেরে আমি অনেক অনেক খুশী। দোয়া করবেন আমি যেনো ভালোভাবে কাজ করে যেতে পারি এবং আমার কমিউনিটি সহ সকল অভিবাসী কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।
রাজনীতির পাশাপাশি রুফিয়া আশরাফ কমিউনিটির কল্যানে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। বললেন, আমি যখন বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য কাজ করতাম তখন তাদের ভাষাকে দুর্বলতা ছিলো। অনেকেই ভালোভাবে ইংরেজি বুঝতে না পারে সমস্যায় পড়তেন। তাদের জন্য আমি ফোন করতাম। অফিস আদালতে যোগাযোগ করতাম। বাংলাদেশী কমিউনিটির লোকজনকে আমার সাধ্যমত সব সময় সহযোগিতা করতাম।
রুফিয়া আশরাফ দীর্ঘ দিন ধরে লেবার পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত।
বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে প্রথম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়েছেন রুফিয়া আশরাফ। ব্রিটেনের মুলধারার রাজনীতিতে তরুণদের আসার আহবান জানান রুফিয়া আশরাফ। বললেন, নর্থাম্পটন কাউন্সিলে মাত্র তিন জন বাংলাদেশী কাউন্সিলার আছেন। আমি মনে করি আমাদের কমিউনিটির তরুণদের মূলধারার রাজনীতিতে আসা দরকার। তারা যদি আসে তাহলে ভালো করতে পারবে। আমরার কমিউনিটিতে আরো বেশী কাউন্সিলারসহ মূলধারার রাজনীতিক দেখতে চাই। যা কিছু সহযোগিতা লাগে আমি করবো।
নর্থাম্পটনের ডালিংটন এলাকার ওয়ারেন রোডের বাসিন্দা মেয়র রুফিয়া আশরাফ। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী রুফিয়া আশরাফের স্বামী আবু তাহের মোহাম্মদ আশরাফ। রুফিয়া আশরাফের ভাশুর হলেন সিলেট পৌরসভার সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মরহুম এডভোকেট আ ফ ম কামাল। রুফিয়া আশরাফের বাংলাদেশের বাড়ী সিলেট নগরীর চারাদিঘীর পাড়ে।
রুফিয়া আশরাফ মেয়র হয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তিনি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবেন এবং বাংলাদেশী কমিউনিটিকে এগিয়ে নেবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।