শাল্লায় তাণ্ডব: এক ওসি বরখাস্ত আরেকজন বদলি

প্রকাশিত :  ০৯:০৯, ০৭ এপ্রিল ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:১৩, ০৭ এপ্রিল ২০২১

শাল্লায় তাণ্ডব: এক ওসি বরখাস্ত আরেকজন বদলি

সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু-অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাল্লা থানা ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত ও দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।

এ ব্যাপারে সিলেট পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলার ঘটনায় শাল্লার থানার ওসি ও দিরাই থানার ওসির দায়িত্বে অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ জন্য ওসি নাজমুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে যুক্ত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া দিরাই থানার ওসি আশরাফুলকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।


হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাও গ্রামের হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালানাে হয়। ১৭ মার্চ সকালে সারাদেশের মানুষ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ব্যস্ত তখনই এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এরআগে ১৫ মার্চ দিরাইয়ে হেফাজতের মাহফিলে বক্তকব্য রাখেন মামুনুল হক। পরদিন তার সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নোয়াগাও গ্রামের এক হিন্দু যুবক। এই ঘটনার জেরে ১৭ মার্চ সকালে মিছিল করে এসে নোয়াগাও গ্রামের প্রায় ৮০ টি হিন্দু বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে মামুনুলের অনুসারীরা। তার আগের রাতেই পুলিশ আটক করে ঝুটন দাস দামে ফেসবুকে স্ট্যটাস দেওয়া ওই যুবককে।

আগের রাতে উত্তেজনা সৃষ্টির পরও পুলিশ হামলা ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে দুই ওসির গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর তাদের  দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

সিলেটে র‍্যাবের অভিযানে ১২ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

প্রকাশিত :  ০৫:০০, ২৮ মার্চ ২০২৪

সিলেটে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সক্রিয় থাকা ছিনতাই চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সিলেট মহানগরীর বন্দর বাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট, মহাজনপট্টি, রেলস্টেশন ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সন্ধ্যায় র‌্যাব-৯ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে উইং কমান্ডার মো. মুমিনুল হক জানান, পবিত্র রমজান এবং আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা, ব্যাগ, মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। এরই প্রেক্ষিতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-৯, সিলেট গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রকে শনাক্ত করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৯ সিলেটের একাধিক দল বুধবার সিলেট মহানগরীর বন্দর বাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট, মহাজনপট্টি, রেলস্টেশন ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের ১২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতাররা সিলেট শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় একাধিক সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। এসব ছিনতাইকারী সাধারণ পথচারী, রিকশা আরোহী, সিএনজি আরোহী, যানজটে থাকা যানবাহনের যাত্রীদের টার্গেট করে তাদের সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা করে। সিএনজিতে যাত্রী বেশে অবস্থান নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে সিএনজি থামিয়ে সিএনজিতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ কিংবা পার্স ছিনিয়ে নেয়।