সীমান্তে যুদ্ধবিমান চীনের, লড়ইয়ের ঘোষণা তাইওয়ানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশের জন্য সীমান্তে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। যদিও এতে ভীত নয় ছোট্ট দ্বীপটি। যুদ্ধ বেঁধে গেলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাইওয়ানিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর রয়টার্স।
স্বায়ত্তশাসিত তাইয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। দ্বীপটিতে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টায় সম্প্রতি সামরিক পদক্ষেপ জোরদার করেছে বেইজিং। গত কয়েক মাস ধরে তাইওয়ানের আকাশসীমায় যুদ্ধবিমানের মহড়া প্রায় দৈনিক ঘটনা বানিয়ে ফেলেছে চীনারা।
গত ৫ এপ্রিলও চীনের একদল যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ দ্বীপটির কাছে মহড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
গত বুধবার (৭ এপ্রিল) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এদিন চীনের ১২টি যুদ্ধবিমানসহ ১৫টি উড়োজাহাজ তাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। একই সময় একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী উড়োজাহাজ গেছে তাইওয়ান-ফিলিপাইনের মধ্যবর্তী বাশি চ্যানেলের ওপর দিয়ে।
জবাবে তাইওয়ানও তাদের বিমানবাহিনী পাঠিয়েছে এবং চীনাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ সাংবাদিকদের বলেছেন, এ অঞ্চলে সম্ভাব্য যুদ্ধের ঝুঁকির বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন নীতিনির্ধারকরা এ অঞ্চলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। আমার সীমিত বোধশক্তি থেকে বুঝতে পারি, তারা স্পষ্টতই তাইওয়ানে চীন আক্রমণ চালানোর সম্ভাব্য বিপদ দেখতে পাচ্ছেন।
তাইওয়ানিজ এ মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নাতীতভাবে আমরা আত্মরক্ষা করতে চাই। প্রয়োজন হলে যুদ্ধ করব। যদি আমাদের শেষ দিনটি পর্যন্ত লড়তে হয়, তাহলে সেদিন পর্যন্তই লড়ব।
জোসেফ উ’র এমন বক্তব্যের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দফতর এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে চীনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতের জন্যই তাইওয়ান সীমানায় এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপ চালানো হয় বলে দাবি করে বেইজিং।