img

সিলেটে 'হামলা ঠেকাতে' থানাগুলোতে মেশিনগান পোস্ট

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ০৮ এপ্রিল ২০২১

সিলেটে 'হামলা ঠেকাতে' থানাগুলোতে মেশিনগান পোস্ট

জনমত ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সহিংস আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে \'হামলা ঠেকাতে\' থানাগুলোতে মেশিনগান পোস্ট বসানো হয়েছে। মহানগর ও জেলা পুলিশের প্রতিটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে বস্তা দিয়ে বাংকার তৈরি করে সার্বক্ষণিক মেশিনগান নিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ঝুঁকি ও গুরুত্ব বিবেচনায় পুলিশের স্থাপনাগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়া নজরদারি করছে পুলিশ। সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের বিভিন্ন মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বুধবার রাত থেকে সিলেটে পুলিশি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিনে কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে বস্তা দিয়ে বাংকার বানিয়ে তাতে লাইট মেশিনগান (এলএমজি) নিয়ে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। থানার সামনে সব ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী পরিহিত অবস্থায় পুলিশের একাধিক পেট্রোল টিমকে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়। নিরাপত্তা জোরদারের কথা নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের। তিনি জানান, যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে ধর্মীয় গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা ও সরকারি অফিসে তাণ্ডব চালায়।

মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, নগরীর সব থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশি স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সব স্থাপনায় পোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি জানান, শুধু থানা বা ফাঁড়ি নয়; সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ফোর্স তৈরি রাখা হয়েছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে।

এদিকে সিলেট জেলার প্রবেশপথসহ আঞ্চলিক সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশের আওতাধীন সব থানায় মেশিনগান পোস্ট বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, সব থানায় এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে। ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতকারী হামলা চালানোর চেষ্টা করে পার পাবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর